বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি। তিনি বলেন, আজ রাত ৯টা ৫৮ মিনিটের দিকে দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ককটেল বিস্ফোরণে বাসযাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ভয়ে যে যেদিকে পারেন ছুটাছুটি করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল
মিডফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ, জুলাই অভ্যুত্থানে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীপুর বাজারে শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক নীরব রায়হান, জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সঞ্চালনায় মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।
শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই কীভাবে আমার ছেলেকে খুনি শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। আপনারা কি চান আবার এই ঘটনা ঘটুক? আরেকটা দল এসে এমন করুক। যদি না চান এসব ঘটনার প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাতে চাই- এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। এই দশমাসে ১৫৪ জন মারা গেছে। আমরা আর এসব দেখতে চাই না। আমার ছেলে রক্ত দিছে, প্রয়োজনে আমি আবার রক্ত দেব। এগুলো আর করতে দেব না। সারাদেশের মানুষকে বলি, মিডিয়াকে বলি কেউ যাতে আর এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘ইন্টেরিম ঘোড়ার ঘাস কাটে কিনা আমরা জানি না। জননিরাপত্তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মাঝেমধ্যে মনে হয় এই পুলিশ ইউনূসের নয়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলব, জনগণের নিরাপত্তার কাজে সাড়ে ৩২ নাম্বার পেয়ে ফেল করেছেন। আপনারা দেখেন কারা ধর্ষণ, খুন, হামলা করে। এমন ঘটনার পরে আমরা কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখতে পাইনি। যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে অ্যাকশন দেখান। আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আসসালামু আলাইকুম, আপনি বিদায় নেন।’
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি শুক্রবার ভাইরাল হওয়ার দুইদিন আগে ঘটেছে। কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এগুলো সামনে আনেনি। মনে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী সময়ে মিডিয়াগুলো হাসিনার কোল থেকে নেমে অন্য কারো কোলে উঠেছে। তাদের প্রচারণায় নেমেছে।