রাজধানীর পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ। এ হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।

আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশালমিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ। মশালমিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় মিছিল থেকে ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘যেই হাত মানুষ মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’ এবং ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ, যেখানে ছাত্ররাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও খুনের পৃষ্ঠপোষক বানানো হয়েছে। আমরা বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।’

রিফাত রশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুলিশি ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা দেখে মনে হয়, এটি শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ। (স্থানীয় সরকার) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দেন—দেশকে প্রস্তর যুগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সরকারে বসে থেকে কীভাবে এমন কথা বলেন। (ব্যবস্থা নিতে) আপনাদের বাধা কোথায়, আমাদের বলুন। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, ‘জুলাইর গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে, এ দেশের মানুষ দখলবাজদের বিরুদ্ধে কতটা সোচ্চার হতে পারে। আজ সেই ঐক্য আবার গড়ে তুলতে হবে দলের মুখোশধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে। ছাত্রসমাজকে এই সংগ্রামে এক হতে হবে।’

গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পেন বাংলাদেশের নতুন সভাপতি সামসাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন

লেখক ও সাহিত্যিক, ব্লগার ও সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখা ও পেন বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক সামসাদ মোর্তুজা। কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কবি জাহানারা পারভীন।

আজ শনিবার সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন ও নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন এ কমিটি ২০২৫-২৭ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।

সংগঠনের আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন কথাসাহিত্যিক এবং সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কথাসাহিত্যিক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।

নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে পারভেজ হোসেন, মুহম্মদ মুহসিন ও শামীম রেজা; যুগ্ম সম্পাদক পদে হামিম কামরুল হক ও মহসিন হাবীব; কোষাধ্যক্ষ পদে লাভলী তালুকদার; প্রচার সম্পাদক পদে শরাফত হোসেন এবং অফিস সম্পাদক পদে জাহিদ সোহাগ নির্বাচিত হয়েছেন।

পেন বাংলাদেশের নতুন কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাকিরা পারভীন, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, সুরাইয়া ফারজানা হাসান, শাহেদ কায়েস ও ওয়াসীম পলাশ।

দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে যাত্রা শুরু করে পেন ইন্টারন্যাশনালের শাখা ‘পাকিস্তান পেন’। ওই সময় এর সভাপতি ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আলী আহসান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নামকরণ করা হয় ‘পেন বাংলাদেশ’

সম্পর্কিত নিবন্ধ