পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগারি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানি তিনটি হলো- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

তথ‌্য মতে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় এসব কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে।

এর আগে গত বছরের ২০ মে ও ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পৃথক দুই নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। বিএসইসির সেই আদেশ অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে ১০ সদস্যের কমিটি

দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে সভাপতি করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বিভাগটির পুঁজিবাজার শাখার যুগ্ম সচিবকে।

পুঁজিবাজারকে আস্থাশীল জায়গায় আনতে আইন-কানুন পরিবর্তনসহ সার্বিক বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের গঠন করা এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন ন্যূনতম কমিশনার পদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা এবং ন্যূনতম পরিচালক পদের বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি। এ ছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের একজন করে ন্যূনতম নির্বাহী পরিচালক মর্যাদার কর্মকর্তা এ কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন। কমিটিতে আরও রয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনায় গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেয়ারবাজার থেকে গত ১৫ বছরে ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। জালিয়াতি, কারসাজি এবং ভুয়া কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে এ টাকা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ ও ২০১১ সালে শক্তিশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক ক্ষতি করে। কিন্তু কারসাজির নায়কদের বিচার হয়নি। 

এর আগে গত ৭ অক্টোবর শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্স ও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করে দেশের শেয়ারবাজারের টেকসই ভিত্তি স্থাপন করতে চায় সরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন
  • শিবলী ও আলমগীরকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
  • পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে ১০ সদস্যের কমিটি
  • বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত কারাগারে
  • শিবলী রুবাইয়াতসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • খুলনা প্রিন্টিংয়ের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ
  • বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার
  • বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
  • বিএসইসির শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
  • তিন কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর