রূপগঞ্জ উপজেলায় তানযীমুল মাদারিসিল ক্বওমিয়্যাহ রূপগঞ্জ এর উদ্যোগে মুহতামিম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার(১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে রূপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে মুহতামিম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ও মুফতি মাওলানা বদরুল আলম সিলেটি সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী হযরত মাওলানা মুফতি দিলওয়ার হোসাইন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহা সচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, রূপগঞ্জ তানযীমুল মাদারিসিল ক্বওমিয়্যাহ শাখার উপদেষ্টা মুফতি হাবিবুর রহমান,
মাওলানা বেলাল হোসাইন মাদানী,মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মাদানী,মুফতি আবু বকর ছিদ্দিক,মাওলানা আবু ইউসুফ,মুফতি ইমদাদুল্লাহ হাশেমী,মুফতি নুরুল হক ডহরী,মাওলানা তানঈম মদিনা,মুফতি জিয়াউর রহমান আমজাদী,মুফতি নুরুল হক রহমানী,মুফতি মফিজুল ইসলাম, মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

মুহতামিম সম্মেলনে পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেনঃ ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে নূরানী শিক্ষা সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করে নূরানী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে,ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের মূল্যায়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে, মুহতামিম সাহেবগণের সহযোগিতায় মসজিদ ভিওিক কুরআনী মকতব চালুর ব্যবস্থা করতে হবে, কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে, তাবলীগের নামে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অবিলম্বে নিষিদ্ধের ঘোষণা করতে হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াশাভেজা সিআরবিতে দৌড়াল পাঁচ শতাধিক শিশুকিশোর

কুয়াশা ভেদ করে ভোরের আলো সবে ফুটতে শুরু করেছে। সড়ক তখনো কুয়াশাভেজা। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবির শিরীষতলা যেন হঠাৎ নতুন শব্দে জেগে উঠল। শিশুদের উচ্ছ্বাস, পায়ের টুপটাপ শব্দ, উত্তেজনায় কাঁপা নিশ্বাসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল আনন্দ। দেখা গেল, দৌড়াচ্ছে প্রায় পাঁচ শতাধিক খুদে দৌড়বিদ।

আজ শুক্রবার ভোরে সিআরবিতে খুদেদের এই ম্যারাথনের আয়োজন করে ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষ চলছে। ১৯৭৬ থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা এখন অর্ধশতকে পৌঁছানোর ঠিক আগমুহূর্তে দাঁড়িয়ে। আর সেই দীর্ঘ পথচলার আনন্দে আয়োজন করা হয় ‘খুদেদের ম্যারাথন’।

অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সংগীতে। এরপর আকাশে ওড়ে রঙিন বেলুন আর ফেস্টুন। আয়োজনের উদ্বোধন করেন এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী, ফুলকি ট্রাস্টের সভাপতি কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন ও সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন। আশপাশের পাহাড়ের ঢালে তখনো রোদ পুরোপুরি বসেনি। কিন্তু শিশুদের মুখে উজ্জ্বলতা ছিল সকালকে হার মানানো।

সকাল সাতটা বাজতেই সিআরবির সাতরাস্তা মোড়ে দাঁড়ায় পাঁচ শতাধিক খুদে দৌড়বিদ। বয়স অনুযায়ী তিন দূরত্ব—৫ কিলোমিটার, ২ কিলোমিটার আর ১ কিলোমিটার। যেই বাঁশি বাজল, ৫ কিলোমিটার অংশগ্রহণকারীদের সামনে পাহাড়ি রাস্তা যেন ঢেউ তুলল তাদের পায়ের শব্দে। একটু পর ছুটল ২ কিলোমিটার আর ১ কিলোমিটার দৌড়ের খুদেরা।

ম্যারাথন শেষে এল পুরস্কারের পালা। ৫ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্ণময় সেনগুপ্ত, মেয়েদের মধ্যে নুসরাত জাহান। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে মো. আরহাম হোসেন, মেয়েদের মধ্যে মানহা জাফরিন। আর ১ কিলোমিটার দৌড়ে ছেলেদের মধ্যে রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, মেয়েদের মধ্যে নাজিয়া কাওসার।

সমাপনী মঞ্চে দাঁড়ানো প্রতিটি শিশুই তখন বিজয়ীর মতো। সবার গলায় ঝুলল মেডেল। এটি ছিল অংশগ্রহণের সাহসের স্বীকৃতি। তিন ক্যাটাগরিতে সেরা ৫ ছেলে ও ৫ মেয়েকে দেওয়া হলো ক্রেস্ট, মেডেল আর সনদ। বাবর আলী শিশুদের বললেন, ‘তোমরা দৌড়াতে নেমেছ, নিজেদের প্রমাণ করেছ। এটা যেন থেমে না যায়। অভ্যাস করে রাখো, শরীর আর মনে দৌড়ের শক্তি ধরে রাখো।’

ফুলকির সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন বলেন, জীবনের গতিও যেন এ দৌড়ের মতোই হয়। সব সময় সামনে, সব সময় চলমান। আয়োজকেরা জানালেন, চট্টগ্রামের ৩৩টি বিদ্যালয়ের শিশু-কিশোরেরা যুক্ত হয়েছিল এ আয়োজনের সঙ্গে। ছিল ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের শিশুরাও। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ফুলকির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সহযোগিতায় ছিল বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ আর এসএমসি।

খুদেদের ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছে কয়েকজন কিশোর। আজ সকালে চট্টগ্রামের সিআরবিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ