রূপগঞ্জে তানযীমুল মাদারিসিল ক্বওমিয়্যাহ উদ্যোগে মুহতামিম সম্মেলন
Published: 15th, January 2025 GMT
রূপগঞ্জ উপজেলায় তানযীমুল মাদারিসিল ক্বওমিয়্যাহ রূপগঞ্জ এর উদ্যোগে মুহতামিম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে রূপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে মুহতামিম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ও মুফতি মাওলানা বদরুল আলম সিলেটি সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী হযরত মাওলানা মুফতি দিলওয়ার হোসাইন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহা সচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, রূপগঞ্জ তানযীমুল মাদারিসিল ক্বওমিয়্যাহ শাখার উপদেষ্টা মুফতি হাবিবুর রহমান,
মাওলানা বেলাল হোসাইন মাদানী,মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মাদানী,মুফতি আবু বকর ছিদ্দিক,মাওলানা আবু ইউসুফ,মুফতি ইমদাদুল্লাহ হাশেমী,মুফতি নুরুল হক ডহরী,মাওলানা তানঈম মদিনা,মুফতি জিয়াউর রহমান আমজাদী,মুফতি নুরুল হক রহমানী,মুফতি মফিজুল ইসলাম, মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
মুহতামিম সম্মেলনে পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেনঃ ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে নূরানী শিক্ষা সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করে নূরানী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে,ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের মূল্যায়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে, মুহতামিম সাহেবগণের সহযোগিতায় মসজিদ ভিওিক কুরআনী মকতব চালুর ব্যবস্থা করতে হবে, কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে, তাবলীগের নামে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অবিলম্বে নিষিদ্ধের ঘোষণা করতে হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৬১৮, এশিয়া জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
শ্রীলঙ্কার সরকার দেশটিতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের নতুন সতর্কতা জারি করেছে। রবিবারের (৭ ডিসেম্বর) সর্বশেষ তথ্যানুসারে, দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, এশিয়ার অন্যান্য অংশে সাম্প্রতিক বন্যা-ভূমিধসে নিহতের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ১,৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।
আরো পড়ুন:
দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠাবে বাংলাদেশ
রবিবার (৯ ডিসেম্বর) শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) সতর্ক করে বলেছে, মৌসুমি ঝড় আরো বৃষ্টিপাত নিয়ে আসছে এবং এর ফলে মধ্য পার্বত্য অঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম মধ্যভূমিসহ পাহাড়ি ঢালগুলোতে ভূমিধস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও জলবায়ু সংকট-জনিত বন্যায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ), যা দ্বীপ রাষ্ট্রটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রস্থলে ভূমিধসের কারণে বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে সাহায্য পাঠানোর জন্য হেলিকপ্টার ও বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশটির বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার তারা মিয়ানমার থেকে বিমান ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছে, যা বিদেশি সাহায্যের সর্বশেষ চালান।
শ্রীলঙ্কান সরকার ৬১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে শুধু চা-বাগান অধ্যুষিত মধ্যাঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬৪ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০৯ জন।
ডিএমসি জানিয়েছে, রবিবার নাগাদ দ্বীপজুড়ে বন্যার পানি কমে যাওয়ার ফলে সরকারি শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার থেকে কমে ১ লাখে দাঁড়িয়েছে।
ডিএমসি আরো জানিয়েছে, ৭৫ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৫ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে ৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জানায়, তারা পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য শ্রীলঙ্কার অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুরোধ বিবেচনা করছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে শুক্রবার সংসদে বলেন, “শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, কিন্তু তা সর্বশেষ ধাক্কা সহ্য করার মতো শক্তিশালী নয়।”
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এশিয়ার অন্যান্য স্থানে যেমন- ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপে সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯০৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৪১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এই অঞ্চলে আট লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সুমাত্রার অনেক বাসিন্দা এখনও ২০০৪ সালের সুনামির আতঙ্কে ভুগছেন, যা আচেহকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেসময় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়ার আচেতেই ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় থাইল্যান্ডেও কমপক্ষে ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় দুজন এবং ভিয়েতনামে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে দুজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ