শেখ হাসিনার ভাষণ প্রদানে ভারতের দায় নেই: রণধীর জয়সওয়াল
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে ভারত সরকারের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে এবং ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে এটিকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নেই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ভারতে বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলবের পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানান রণধীর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো.
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন নিজ দায়িত্বে। তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে, যেখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থে সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিবাচক মনে করছে এনসিপি
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব গতকাল রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণভোটের ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্টের (ভিন্নমত) কার্যকারিতা না রাখা, পুরো সনদকে “হ্যাঁ”, “না” ফরম্যাটে গণভোটে দেওয়া এবং গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে আদেশ জারি করা—এ বিষয়গুলোকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ রাখার বিষয়টিও ইতিবাচক। কিন্তু আদেশের পূর্ণাঙ্গ কপিটা আমরা এখনো পাইনি। তবে আমরা সংস্কারকৃত সংবিধানকে সংশোধিত সংবিধান, ২০২৬ নামকরণের কথা বলেছিলাম।’
ঐকমত্য কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশ নিয়ে বিএনপির অসন্তুষ্টি প্রসঙ্গে এনসিপির নেতা আরিফুল ইসলাম আদীবের মন্তব্য হচ্ছে, যে বিষয়গুলো বিএনপির বিপক্ষে যায়, তারা সেগুলোকে অনৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হিসেবে দেখে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অধিকাংশ দল যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, বিএনপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির ক্ষেত্রে ২৫টি দল একমত, বিএনপি আর এনডিএম একমত হয়নি।
এনসিপির নেতা বলেন, মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে ৩০টি দলের মধ্যে ২৫ থেকে ২৮টি দল একমত হয়েছে, সেখানে বিএনপি ও তাদের সমমনা কয়েকটি দল দ্বিমত করেছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়াকে ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। কারণ, গণভোটের মাধ্যমে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে। এরপরই সংস্কারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে।
আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, আজকালের মধ্যে এনসিপির দলীয় সভা হতে পারে। সেখানে আলোচনা করে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।