Samakal:
2025-05-03@05:57:07 GMT

শ্রদ্ধায় স্মরণ ভাষা শহীদদের

Published: 21st, February 2025 GMT

শ্রদ্ধায় স্মরণ ভাষা শহীদদের

শামীম রেজা ও ফারদীন ইফতেখার। দুই বন্ধু। থাকেন ইস্কাটনে। দিনের কাজ সেরে রেখেছেন আগেই। রাতে যাবেন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে তাদের সঙ্গে দেখা হলো। হাঁটতে হাঁটতে গল্প। জানালেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থা থেকেই প্রভাতফেরিতে আসা হতো। কর্মজীবনে ব্যস্ততা বাড়লেও দিনটি এলে ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে না। বন্ধুদের নিয়ে ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

শামীম ও ফারদীনের মতন এমন হাজারো মানুষের দেখা মিললো শহীদ মিনারে। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কারও সঙ্গে পরিবার। বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছে ছোট্ট শিশুও।

আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটিতে হাজারো মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ ভোর থেকেই প্রভাতফেরি করে শ্রদ্ধার ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি পৃথকভাবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ দলে দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংঘ, সংগঠন, আর্থিক, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হল, ক্লাব, ইউনিয়নের হয়ে কিংবা ব্যক্তি ও পারিবারিকভাবে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। তাঁদের কারও হাতে একগুচ্ছ ফুল, ফুলের তোড়া কিংবা শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের পোশাক ও সজ্জায় শোকের কালো রং। কণ্ঠে সেই বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…’।

বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের বাইরেও ব্যক্তি উদ্যোগে শত শত মানুষকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। ৮ বছর বয়সী মেয়ে সানজানাকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন বেসরকারি কর্মকর্তা সোহেল রানা। মেয়ের পাঁচ বছর বয়স থেকেই মেয়েকে সঙ্গে করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছেন বলে জানালেন তিনি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট চলছে, কে বসছেন ক্ষমতার মসনদে

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে শনিবার (৩ মে) ভোটগ্রহণ শুরুর কথা জানানো হয়। 

নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এর বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি পুনরায় জয়ের চেষ্টা করছে। আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, লেবার পার্টি কিছুটা এগিয়ে আছে। তবে শেষ মুহূর্তের ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, কে বসবেন ক্ষমতার মসনদে।

এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে জীবন যাত্রার ব্যয়। এছাড়া, স্বাস্থ্য সেবা ও হাউজিং ব্যয় নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল আসতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির ইলেকটোরাল কমিশন অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু করবে। মূলত এই প্রাথমিক ফল থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে কে দেশটির পরবর্তী সরকার গঠন করবেন।

নির্বাচনে শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে না, বরং বিদেশে থাকা দেশটির ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ৮৩টি দেশে ১১১টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তার জানিয়েছে। এর মধ্যে বার্লিন, হংকং, লন্ডন ও নিউইয়র্কে বিপুল সংখ্যক অস্ট্রেলিয়ানের বসবাস রয়েছে।

দেশটির ভোটারদের জন্য ভোট দেওয়ার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৮ বছর বয়সী সবার জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ ভোট দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ১৩ ডলার জরিমানা গুণতে হবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসনের সবকটিতেই এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে আজ নির্বাচন হচ্ছে। কোনো দলের সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে দলগুলো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ছোট দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

দেশটিতে কয়েক দশক ধরেই রাজ্য ও ফেডারেল সরকার নির্বাচনে ছোট দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট ক্রমাগত বাড়ছে।

আলবানিজ পরিমিত কর হ্রাস, সস্তা স্বাস্থ্যসেবা এবং যারা প্রথমবারের বাড়ি কিনতে চান, তাদের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

ডাটন বলেছেন, তিনি জ্বালানি কর ও গ্যাসের দাম কমাবেন এবং পাঁচ লাখ বাড়ির জন্য অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করবেন।

উভয় পক্ষকেই মার্কিন রাজনীতির সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে। ছয় সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হতে না হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তার বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করেন।

কিছু জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তোষামোদ করার কারণে ডাটনের প্রতি ভোটারদের সমর্থন কিছুটা কমেছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ