অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শেষ ৪ মে, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন
Published: 3rd, May 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের সুযোগ আরও চারদিন। সময় বাড়ানোর এ কথা জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছে বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিনের ফেসবুক পেজে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ এপ্রিল। এখন শিক্ষার্থীরা ৪ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এ বৃত্তি পেলে স্বাস্থ্য, ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশ, সাসটেইনেবিলিটি, ট্রেড, পাবলিক পলিসি, অর্থনীতি, গভর্ন্যান্স, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্লু ইকোনমিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়া যাবে দেশটিতে। ২০২৫ সালের জন্য বিশ্বের ৫৫ টি দেশের ১ হাজার ৫৫১ জন অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পাবেন। ২০২৩-২০২৪ প্রোগ্রামে অষ্ট্রেলিয়া ২৭০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এ বৃত্তির জন্য।
আরও পড়ুনজাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা৩১ মার্চ ২০২৫অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশিসহ বিশ্বের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ আগামী ৪ মে, রোববার পর্যন্ত।
আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুযোগ-সুবিধা১৫ জানুয়ারি ২০২৫অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসে সুযোগ-সুবিধা—*সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ
*বই ও পড়াশোনার আনুষঙ্গিক জিনিসের খরচ
*বিমানে ইকোনমি ক্লাসে যাতায়াতের টিকিট
*বসবাসের খরচ ও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা
*কোর্স ভেদে ফিল্ডওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধাও আছে।
আবেদনের যোগ্যতা—*১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারেন
*অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব যাদের রয়েছে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না
*অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকের সঙ্গে বাগদান বা বিবাহিত হলে আবেদন করা যাবে না
*কোনো সামরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না
*আইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬ দশমিক ৫ হতে হবে এবং প্রতিটি ব্যান্ড স্কোর হতে হবে ৬ অথবা
*ইন্টারনেট টেস্টে টোয়েফলে স্কোর কমপক্ষে ৮৪ (আইবিটি) অথবা
*পিটিই অ্যাকাডেমিক স্কোর ৫৮।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হেফাজতের সমাবেশে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যতবার আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখি, ততবার আমার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে করা তদন্তের কথা মনে পড়ে। যখন সারা বিশ্ব সেই গণহত্যার মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল, তখন আমি ঢাকাতে বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে সেই কঠিন কাজটি হাতে নিয়েছিলাম। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট চষে বেড়ানো, হাসপাতালের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা এবং দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করা, মানুষকে মুখ খুলতে রাজি করানোর চেষ্টা করার সময়, আমি প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত ছিলাম।”
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, “নিরাপত্তার কারণে, আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।”