নদ–নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও নদী রক্ষা কমিশন। খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের ১ হাজার ২৯৪টি নদ–নদী। গত বছরের ডিসেম্বরে খসড়া তালিকায় সে সংখ্যা ছিল ১,১৫৬।

আজ বৃহস্পতিবার নদীবিশেষজ্ঞ, নদীকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য পাউবো তালিকাটি তাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন করে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ণয় করার নির্দেশের প্রায় সাত মাস পর এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়।

জানতে চাইলে পাউবোর মহাপরিচালক এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের করা খসড়া তালিকায় নদ–নদীর সংখ্যা পেয়েছি ১ হাজার ২৯৪। আমরা সেটি ওয়েবসাইটে দিয়েছি, যাতে সবার মতামত নিয়ে একটা সম্পূর্ণ তালিকা করতে পারি।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে এ তালিকা করা হয়েছে। আমরা আমাদের টেকনোলজি ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি কমিশন তাদের সিএস ও আরএস খতিয়ান দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমরা তালিকাটি উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়েছি, যাতে নদীর একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা আমরা পাই।’

২০১৩ সালে নদী রক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় নদীর সংখ্যা উঠে এসেছিল ৮৫৭, যা নিয়ে তখন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা যৌথভাবে একটি সভার আয়োজন করে। সে সভায় দুই মাসের মধ্যে নদ–নদীর পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরি করতে পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈঠকে নদ–নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নদ র স খ য নদ নদ র

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা ব্যাংকের ২৪% লভ্যাংশ ঘোষণা, ছাড়বে বন্ড

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। সেই সঙ্গে পুঁজি বৃদ্ধি করতে ব্যাংকটি বন্ড ছাড়বে বাজারে।

গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৪ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৬১ পয়সা।

গত এক বছরে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।

আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ মে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে মূলত পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে; মজুত বা যে মুনাফা এখনো হয়নি, তার ভিত্তিতে মুনাফা দেওয়া হয়নি। পরিশোধিত মূলধনেও হাত দেওয়া হয়নি।

২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।

বন্ড ছাড়বে যমুনা ব্যাংক

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া আরেক ঘোষণায় যমুনা ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এক হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল কুপন ছাড়া হবে। ব্যাংকটির পুঁজির ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই বন্ড ছাড়া হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়া গেলেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ