খসড়া তালিকায় নদ–নদীর সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪
Published: 27th, March 2025 GMT
নদ–নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও নদী রক্ষা কমিশন। খসড়া তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের ১ হাজার ২৯৪টি নদ–নদী। গত বছরের ডিসেম্বরে খসড়া তালিকায় সে সংখ্যা ছিল ১,১৫৬।
আজ বৃহস্পতিবার নদীবিশেষজ্ঞ, নদীকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য পাউবো তালিকাটি তাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন করে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ণয় করার নির্দেশের প্রায় সাত মাস পর এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়।
জানতে চাইলে পাউবোর মহাপরিচালক এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের করা খসড়া তালিকায় নদ–নদীর সংখ্যা পেয়েছি ১ হাজার ২৯৪। আমরা সেটি ওয়েবসাইটে দিয়েছি, যাতে সবার মতামত নিয়ে একটা সম্পূর্ণ তালিকা করতে পারি।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে এ তালিকা করা হয়েছে। আমরা আমাদের টেকনোলজি ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি কমিশন তাদের সিএস ও আরএস খতিয়ান দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমরা তালিকাটি উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়েছি, যাতে নদীর একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা আমরা পাই।’
২০১৩ সালে নদী রক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় নদীর সংখ্যা উঠে এসেছিল ৮৫৭, যা নিয়ে তখন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা যৌথভাবে একটি সভার আয়োজন করে। সে সভায় দুই মাসের মধ্যে নদ–নদীর পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরি করতে পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠকে নদ–নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ র স খ য নদ নদ র
এছাড়াও পড়ুন:
পালপাড়ায় অগ্নিকান্ডে পুড়লো ৩৫টি দোকান, ক্ষতি ৩ কোটি টাকা
শহরের নতুন পালপাড়া এলাকায় অবস্থিত সমীর কর মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৩৫টি দোকান। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে মার্কেটের হোসিয়ারি ও বডি নিটিং দোকানগুলোতে এ আগুন লাগে।
ক্ষতিগ্রস্ত হোসিয়ারী মালিকরা জানায়, আগুনে প্রায় ৩৫টি হোসিয়ারি কারখানা ও বডি নিটিং দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে অনুমানিক তিন কোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, “খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। সরু সড়ক ও পানির সংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে তদন্ত চলছে।