এ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্র্র্র্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। ‘কালকে টুনির বিয়া’ শিরোনামের একটি গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তিনি। গানটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সুবাহ।
শাহ হুমায়রা সুবাহ বলেন, “আমি সাধারণত গানের মডেল হই না। কিন্তু এই গানটা যখন শুনলাম, খুব ভালো লেগেছে। ভিডিওটা সিনেমাটিক স্টাইলে বানানো, তাই রাজি হয়েছি। মুক্তির পর সবাই খুব প্রশংসা করছেন, ভালোই লাগছে।”
‘ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনে না’ গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। প্রমিত কুমারের লেখা এই গান তখন দুই বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এটি সিডি ফরম্যাটে মুক্তি পায়। ২০১৬ সালে সিএমভি মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ‘কালকে টুনির বিয়া’ গান নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরো পড়ুন:
বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারকা দম্পতি
বেবি বাম্প নিয়ে মেট গালায় দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা
রফিক শিকদার পরিচালিত ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় সুবাহর। প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শকদের নজর কাড়েন। তার অভিনীত পাঁচটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী
চাঁদপুর শহরে সুজন তালুকদার নামে এক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য নগদ অর্থের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন প্রতারক স্ত্রী অসীমা তালুকদার।
মঙ্গলবার (৬ মে) চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের সোনালী ব্যাংক হতে সুজন তালুকদার নামে মৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাতার তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম।
সিনিয়র অফিসার মাহবুব আলম জানান, এখানে সুজন তালুকদারসহ মোট ৩৯৫ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশরা নিয়মিত ভাতা তুলছেন। যারা মাসে ২০ হাজার টাকা, এরসঙ্গে দুই ঈদে ১০ হাজার করে ঈদ ভাতা এবং বৈশাখী ভাতা হিসেবে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা
সুনামগঞ্জে তালা ভেঙে শহীদ মিনারে ফুল দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা
তিনি আরো জানান, সুজন তালুকদারের অর্থ একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে তার স্ত্রী অসীমা তালুকদার তুলছেন।
সরকারি ওয়েব সাইটে বীর মুক্তিযোদ্ধা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে দেখা যায় সুজন তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধার নম্বর হচ্ছে ০১১৩০০০১৬০২ এবং বেসামরিক গেজেট ৫৫ এবং লাল মুক্তিবার্তা ০২০৫০১০২৭০। তার বাবা মৃত হরে কৃষ্ণ তালুকদার এবং ঠিকানা হচ্ছে গ্রাম-৬৬, মেথা রোড, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।
এ তথ্য অনুযায়ী সেখানে গেলে মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে পাওয়া না গেলেও তার নিকট আত্মীয়দের পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের বৌদি কল্পনা তালুকদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারকে মারধরসহ ভাড়া বাসায় বেঁধে রাখার খবর পাচ্ছেন। এ কাজ করছেন তার স্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা সুজন তালুকদারের ভাতিজি বিপাশা তালুকদার বলেন, কাগজে কলমে সুজন তালুকদারকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাই তাকে বাসায় বন্দি করে রাখে।
সুজন তালুকদারের মিশন রোডের ভাড়া বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধ সুজন তালুকদার বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আমাকে এই খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে, মারে। সবসময় ধমকায়।’’
স্বামীকে মৃত দেখানোর বিষয়ে স্ত্রী অসীমা তালুকদার বলেন, ‘‘আমি দ্রুত সুজনকে নিয়ে এ জেলা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবো। আমার বোন জামাই আছে ঢাকায় এবং মেয়ে ও তার স্বামীও আছে এক স্থানে। তারা অসুস্থ সুজনকে দেখভাল করবে।’’ এ সময় সুজন তালুকদারের সঞ্চিত অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সব টাকা তার চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, এই প্রতারণার তথ্য সঠিক হলে তদন্ত করে ভাতা বন্ধসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/জয়/বকুল