সিলিন্ডারজাত সরকারি গ্যাস বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডে অভিযান চালিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার ঢাকাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় ও চট্টগ্রাম-১ কার্যালয় থেকে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সরকারি গ্যাস নির্দিষ্ট দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে।

ঢাকায় এলপি গ্যাস লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে দুদক টিমের সদস্যরা প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন। ডিলার, গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, প্রতিবছর এলপি গ্যাস লিমিটেডের প্রায় ১৩-১৪ হাজার টন এলপিজি গ্যাস ১৪ লাখ সিলিন্ডারে বোতলজাত করে চারটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি। যেখানে প্রতি ১২ দশমিক ৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৯০ টাকা। এসব সিলিন্ডার ওই চারটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবন্ধিত ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি চক্র সরকারি ৬৯০ টাকা মূল্যের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ক্রস ফিলিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস বেসরকারি সিলিন্ডারে বোতলজাত করছে। এই প্রতি সিলিন্ডার তারা বিক্রি করছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। অভিযানকালে একজন ডিলার কর্তৃক ১০-১৫ জন ডিলারের অথরাইজেশন নিয়ে একাই বরাদ্দকৃত গ্যাস উত্তোলন ও অধিক মূল্যে বিক্রয়ের তথ্য পায় দুদক টিম। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে টিম।

একই অভিযোগে দুদকের চট্টগ্রাম-১ থেকে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিমের সদস্যরা শুরুতে এলপি গ্যাস লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি ও পতেঙ্গায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় সরকারি সিলিন্ডারের গ্যাস বিক্রি ও ডিলারশিপ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে দুদক টিম কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এলপ জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

কর্মস্থল থেকে ‘পালানোর’ অভিযোগে এক উপমহাপরিদর্শকসহ (ডিআইজি) পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ২৯ জুন এসপি, অতিরিক্ত এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে একই অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন— চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আল মিনা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার এবং ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী।

ডিআইজি নুরে আলম সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে অনুপস্থিত রয়েছেন। ডিবির সাবেক ডিসি মানস কুমার পোদ্দারকে সবশেষ যুক্ত করা হয় কুমিল্লার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে। সেখানে তিনি গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে অনুপস্থিত। 

এদিকে ডিএমপির সাবেক ডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরীকে এসপি হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছিল। কর্মস্থলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুসারে, পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন এসব কর্মকর্তারা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ