ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শাপলা চত্বরের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি এনসিপি নেতাদের

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনা তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। পাশাপাশি ওই ঘটনায় নিহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি, দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ‘শাপলা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: বিচার, সুষ্ঠু তদন্ত, শহীদদের স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণে রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা।

সভায় আখতার হোসেন বলেন, ‘এক যুগ পরে এসে আমরা যখন শাপলা গণহত্যার স্মৃতিচারণা করি, তখন দৃশ্যমান হয়ে ওঠে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তাদের সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক দোসররাও এ ঘটনায় সমানভাবে দায়ী। অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস পেরিয়ে গেলেও শাপলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো বিচারপ্রক্রিয়া এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।’

এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। যাঁরা শাহাদাত বরণ করেছেন, আহত হয়েছেন; তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আওতায় আনা হোক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

শাপলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমাবেশের আয়োজকদের প্রশ্নের মুখোমুখি করার দাবি জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘সেদিনের সমাবেশ ঘিরে আয়োজক হেফাজতে ইসলাম এবং তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে রাজনৈতিক আলাপ ছিল। সেই আলাপ কেন বাস্তবায়ন হয়নি? নিরীহ মাদ্রাসার ছাত্রদের সমাবেশে আনা হয়েছে কোনো রকম রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি ছাড়া। রাজনৈতিক এই ভুল সিদ্ধান্ত শত শত মানুষকে হত্যার মুখোমুখি করেছে।’

শাপলা গণহত্যার ঘটনায় বিশিষ্ট নাগরিকের বেশে যাঁরা সম্মতি উৎপাদন করেছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আরিফুল ইসলাম আদীব।

২০১৩ সালের ৫ মে থেকে চব্বিশের জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পিওর (নিখুঁত) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। তাই এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর অধিকার নেই। করতে হলে তাদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে তারা রাজনৈতিক দল।’

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, যাঁরা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নেওয়ার ফন্দি করছেন, তাঁরা আসলে বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মো. নিজাম উদ্দিন সভাটি সঞ্চালনা করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা, মুশফিক উস সালেহীন, ফয়সাল মাহমুদ ও মুশফিকুর রহমান, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার, উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান ও সংগঠক এম এম শোয়াইব, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মাওলানা সানাউল্লাহ খান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ