গোসল করতে নেমে পুকুরে ডুবে শান্তনু কর্মকার নামে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের খানজাহান আলী হল সংলগ্ন পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। 

শান্তনু ম্যাটারিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ঢাকার রাজার দেউরি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।

কুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নামার পর শান্তনু নিখোঁজ হন। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উদ্ধারের পর শান্তনুকে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে।

এ দিকে শান্তনু’র মৃত্যুর খবরে সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্টারনেটের দাম নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ ফয়েজ তৈয়্যবের

মোবাইল ইন্টারনেটের সেবার মান ও দাম কমানো নিয়ে অপারেটরগুলোর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতে পারি না। সমানে অ্যাটাক আসে। প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি মন্তব্যই হচ্ছে ইন্টারনেটের দাম কেন কমাতে পারলাম না? কেন এত ইন্টারনেটের দাম বাড়ছে, কেন কভারেজ নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।’

শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি সংস্কার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথাগুলো বলেন। বৈঠকটির আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

বৈঠকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির একজন কর্মকর্তা নতুন টেলিযোগাযোগ নীতির কয়েকটি সীমাবদ্ধতা তুলে ধরার চেষ্টা করলে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ সময় মোবাইল অপারেটরগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগের যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, সেগুলোর প্রশংসা করে না অপারেটররা। কোম্পানিগুলো বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

বৈঠকে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক হারানোর বিষয়টি তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, গ্রাহক কমার কারণ হিসেবে অপারেটরগুলো সিমের কর বাড়ানোর কথা বলছে, যা সঠিক নয়। নিম্নমানের সেবার কারণে মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট-বিমুখ হচ্ছে।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পড়েন মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার। টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, টেলিযোগাযোগ-বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির প্রমুখ। গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ