রাজধানীর গুলশানে ভাস্কর রাসাকে রিকশা থেকে নামিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে দেখা যায়, এক যুবক রিকশা থামিয়ে ভাস্কর রাসাকে বলছেন, ‘আপনার নামে মামলা হয় নাই? আপনি কই যান? গুলশান থানায় চলেন। আপনি কী করেছেন, জানেন না? চলেন, থানায় চলেন।’ এ সময় ভাস্কর রাসাকে গালাগাল করেন ওই যুবক। এক পর্যায়ে পেছন থেকে লাঞ্ছিত করেন তিনি।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ভাস্কর রাসা রিকশায় গুলশান সাজু আর্ট গ্যালারিতে যাচ্ছিলেন। গুলশান ১ ও ২-এর মাঝামাঝি স্থানে এক যুবক রিকশা থামিয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। দু-তিন সঙ্গী নিয়ে ওই যুবক লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করলে ভাস্কর রাসা দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে চলে যান। এ সময় পেছন থেকে তাঁকে আঘাত করা হয়।

তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ভাস্কর রাসা। তিনি পুলিশেও কোনো অভিযোগ দেননি। ভাস্কর রাসার পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ১৪ ঘণ্টার বেশি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন ভোরে তাঁকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাওয়া যায়, পোশাক ছেঁড়া ছিল। নিখোঁজের কারণ আজও জানতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। নতুন করে এ ঘটনায় ভাস্কর রাসা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন।

প্রথিতযশা ভাস্কর রাসা দেশের গুরুত্বপর্ণ অনেক ব্যক্তির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাঁর করা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার তারেক মাহমুদ সমকালকে জানান, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও তারা দেখেছেন। ভাস্কর রাসাকে হেনস্তার ঘটনাস্থল চিহ্নিত ও জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ স কর র স ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষামূলক হামলা’র যুক্তি আন্তর্জাতিক আইনে কতটা ন্যায্য

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে ইসরায়েলের পাশে সামরিকভাবে যুক্ত হওয়ার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। অন্যদিকে ইরানে আগ্রাসন চালানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে ইসরায়েল বলছে, দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই তারা দেশটিতে আগাম হামলা চালিয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে পরিচিত জাতিসংঘ সনদ এক দেশের ওপর অন্য দেশের কোনো ধরনের আগ্রাসনকে অনুমোদন করে না। সনদটি শুধু আত্মরক্ষার প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ অনুমোদন করে। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। ব্যর্থ হলে বলপ্রয়োগের বৈধতা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।

নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলার মধ্যেই কোনো দেশ আক্রান্ত হলে সে দেশের ‘ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার’ থাকে। মানে আক্রান্ত দেশও হামলাকারী দেশের ওপর ন্যায়ানুগভাবে পাল্টা হামলা চালাতে পারবে।

ইরানে আগেভাগে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার দাবি করা কতটা আন্তর্জাতিক আইনে যুক্তিসংগত, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। ইসরায়েল যদি প্রমাণ করতে পারে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, তবে সেই আগাম হামলা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জন্য এটাই এখন আইনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।

ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন ভবন। স্যাটেলাইট ছবিতে ধারণকৃত, ১৭ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ