পুকুরে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বাবা জানেন ছেলে অসুস্থ
Published: 6th, May 2025 GMT
গোসল করতে নেমে পুকুরের পানিতে ডুবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতেরে থাকা একটি পুকুরে ঘটনাটি ঘটে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর বাবা জানেন তার ছেলে অসুস্থ। সে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিসাধীন। পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহে বেড়াতে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর পরিবার খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম শান্তনু কর্মকার (২১)। তিনি কুয়েটের মেটারিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলা সদরের কর্মকারপাড়ার সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। বর্তমানে তার পরিবার ঢাকার জজকোর্ট এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
বজ্রপাতে গাছ লম্বালম্বি দ্বিখণ্ডিত, উৎসুক মানুষের ভিড়
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু
কুয়েট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে শান্তনু কর্মকার খানজাহান আলী হল সংলগ্ন পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামেন। এরপর তিনি নিখোঁজ জন। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শান্তনু কর্মকারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শান্তনু কর্মকারের বাবা সুকুমার চন্দ্র কর্মকার বিকেল ৫টায় বলেন, “ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়েছি। শুনেছি, সে এখন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা ময়মনসিংহে বেড়াতে এসেছি। খবর পেয়ে খুলনায় রওনা দিচ্ছি।”
কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বলেন, “মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে প্রাণীত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার মৌরাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি।
কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আরো পড়ুন:
এলিজার নতুন দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তরুণ লেখকদের নিয়ে চন্দ্রিমায় সাহিত্য আড্ডা
এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার।
বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এসবি