ব্যাচেলর পয়েন্ট: ‘কাবিলার’ প্রেমিকা ‘রোকেয়া’ চরিত্র তৈরির গল্প
Published: 9th, May 2025 GMT
কাজল আরিফিন অমি পরিচালিত বহুল আলোচিত টিভি সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সিরিয়ালটির প্রথম সিজনের সম্প্রচার শুরু হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনে। পাশাপাশি এটি মুক্তি পায় ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে।
দর্শক চাহিদা মাথায় রেখে নির্মিত হয়েছে সিরিয়ালটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজন। ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় তৃতীয় সিজনের শেষ পর্ব (৭৯)। এরপর চতুর্থ সিজন নির্মাণের দাবি জানান দর্শকরা। এ সিজন শেষ হওয়ার আড়াই বছর পর নির্মিত হচ্ছে পঞ্চম সিজন।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের অধিকাংশ চরিত্র দারুণ জনপ্রিয়। এর মধ্যে অন্যতম কাবিলা। আর তার প্রেমিকার নাম রোকেয়া। অদৃশ্য রোকেয়া চরিত্রটি দর্শকমহলে ভীষণ জনপ্রিয়। কিন্তু গত চার সিজনের কোনো পর্বে রোকেয়াকে দেখেনি দর্শকরা। এই রোকেয়া চরিত্র তৈরির পেছনে একটি গল্প রয়েছে। আর তা নিয়ে কথা বলেছেন পরিচালক অমি।
আরো পড়ুন:
ওড়না বা হিজাব পরে খেলার সুযোগই নেই: তাসনুভা তিশা
স্ত্রীর বাড়ি ছাড়ার গুঞ্জনে কী বললেন শামীম?
রোকেয়া চরিত্র জন্ম নেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে কাজল আরিফিন অমি বলেন, “মানুষ ঠেকে শেখে, আমিও তাই শিখেছি। শুরুতে শুটিংয়ে কেউ কেউ লেটে আসতো। পলাশ (কাবিলা) আমার অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর, তাই ওকে সবার আগে আসতে হতো। অন্যরা লেটে আসায় বসে না থেকে ভাবলাম, পলাশকে দিয়ে কীভাবে দু’মিনিটের দৃশ্যের শুটিং করা যায়। ভেবে বের করি, কাবিলার একজন প্রেমিকা থাকবে। যে মেয়েটি নোয়াখালী থাকে, ঢাকায় আসবে না; শুধু ফোনে কথা বলবে। তখন কাবিলা-রোকেয়া অংশের শুটিং করতাম। তখন কেউ বুঝিনি রোকেয়া পপুলার হবে। এভাবেই রোকেয়া চরিত্রের জন্ম।”
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের পঞ্চম সিজনেও কি রোকেয়া অদৃশ্য একটি চরিত্র থেকে যাবে? নাকি পর্দায় দেখা যাবে আলোচিত এই চরিত্রকে? জবাবে অমি বলেন, “রোকেয়াকে দেখা যাবে কিনা সেটা ‘সিজন ৫’ দেখলে বোঝা যাবে। আসলে রোকেয়াকে আমি নিজেও দেখিনি। আগে দেখি, তারপর না হয় দর্শক দেখবেন। মানে রোকেয়া হিসেবে কাকে নেয়া যায় আরকি!”
রোকেয়া চরিত্রটি দৃশ্যমান করার বিষয়ে শুরুতে রহস্য তৈরি করেন নির্মিাতা। পরে এটা নিশ্চিত করেছেন যে, রোকেয়াকে পর্দায় দেখা যাবে। এ বিষয়ে অমি বলেন, “এখনো জানি না, রোকেয়াকে পর্দায় কীভাবে দেখাব। তবে অবশ্যই দর্শকদের সামনে রোকেয়াকে আনব।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয় না
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। সে কারণে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে হলে নেপালের ব্যবসায়ীদের ব্যয় বেশি হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডোর গড়ে উঠবে। এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো-অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এ বছর প্রায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে মেডিকেল পড়ে।
অনুষ্ঠানে খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর আবির ইমতিয়াজ, খুলনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক, ট্যুর ও ট্রাভেল অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।