আজ ১১ মে। বিশ্ব মা দিবস। এ দিবসে তিন তারকার মাকে সম্মাননা জানাচ্ছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ রোববার ঢাকার মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিনয় ও সংগীতাঙ্গনের তিন তারকার মায়ের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।
এ বছর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ১২ জন গুণী ব্যক্তির মায়েদের সম্মাননা জানানো হচ্ছে। বিনোদন অঙ্গন থেকে অভিনয়ে সুমাইয়া শিমু ও আবদুন নূর সজলের মা এবং গানে দিলশাদ নাহার কনার মাকে এই সম্মাননা দেওয়া হবে।
রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল [অব.
প্রশাসন, আইন ও বিচার, শিক্ষা, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, সাংবাদিকতা, সংগীত, অভিনয় [নারী ও পুরুষ] এবং বিশেষ ক্ষেত্রে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর মায়েদের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “সমাজের গুণীজনের মায়েদের সম্মাননা জানানো হাসপাতালের একটি সামাজিক উদ্যোগ।
এতে মা তাঁর জীবদ্দশায় সন্তানের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত হন। ‘গরবিনি মা’ শিরোনামে সম্মাননা প্রদান উৎসবের আয়োজনের যুগপূর্তি হতে যাচ্ছে। আশা করছি, অনুষ্ঠানটি সবার অংশগ্রহণে সফল হবে।”
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করা হবে। এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রেস উইং। তারা আরও বলে, সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তবে বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ইতিমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে বলে উল্লেখ করে প্রেস উইং। প্রেস উইং বলেছে, এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে প্রেস উইং।