সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের লোক পরিচয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
Published: 10th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের লোক পরিচয়ে মো: জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর জমির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত বুধবার (৭ মে) নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো: জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মো: ফারুক নামে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের এক সহযোগীকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এসময় জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তাসহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করিয়া নিয়া যায় বলেও জানা গেছে।
অভিযুক্ত মো: ফারুক নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার পেদা মিয়ার ছেলে এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযোগে মো: জালাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খোর্দ্দঘোষ পাড়া মৌজাস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৮৪, এসএ খতিয়ান ১৪, সিএস ও এসএ দাগ নং ১২২, ১২৩ এবং আরএস-৫৬২ নং দাগে তাঁর জমিতে মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো: হাসনাইন (৩২) সহ ১০ জন রাজমিস্ত্রী নির্মান কাজ করিতেছিল।
ওই সময় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিবাদী ফারুকসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বেআইনিভাবে ঐ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে তাঁর নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে কথা না বলে কাজ করতে নিষেধ করে অন্যথায় বিপদ হবে।
এসময় রাজমিস্ত্রি হাসনাইন মোবাইল ফোনে আমাকে খবর দেয়ার জন্য ফোন দিলে বিবাদী তাকে চর-থাপ্পর মেরে নীলা-ফুলা জখম করে এবং তার সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন নিয়া যায় এবং জমির বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এসময় বিবাদীরা জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তা সহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোরকরে নিয়ে যায়।
এছাড়াও বিবাদীর সাথে যোগাযোগ না করলে জমিতে পাকা নির্মান কাজ করতে দিবে না এবং খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। উক্ত হুমকির পরিপেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন জানান, ফারুক বিএনপির নেতা। সে কোথায় গেল না গেল সেটা তার ব্যাপার। আমার কোন লোক সেখানে যায়নি। আর এখানে আমাকে জড়ানোর কি আছে।
অভিযোগের তদন্তকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন খালাসী জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশনে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি , আটক ৩
ফতুল্লায় অবৈধভাবে পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল ভর্তি করে ট্রাক নিয়ে বের হতেই স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে চালকসহ ৩জন। এসময় আটককৃতদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে ট্রাক ভর্তি জালসহ পুলিশ দিয়েছে জনতা।
বুধবার সকালে ফতুল্লার পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে এঘটনা ঘটে।
আটকৃতরা হলো- সোনারগাঁও থানার ভরমেসন্ধি গ্রামের আরব আলী ভূইয়ার ছেলে রিফাত ভূইয়া (৩৭), একই থানার আনন্দ বাজার এলাকার বলায় নাথের ছেলে লোকনাথ (২২) ও একই থানার বারদী গ্রামের শামীমের ছেলে ট্রাক চালক সোহাগ (২৫)।
আটক রিফাত ভূইয়া জানান, সোনারগাঁও আনন্দ বাজার এলাকার গুলজার হোসেন সকালে চালক সোহাগের সাথে ট্রাক দিয়ে পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানে পাঠায়। বলে দেয় কোস্ট গার্ড স্টেশানের অপারেশন অফিসার রাশেদের সাথে দেখা করলে সে কারেন্ট জাল দিবে। সেই জাল নিয়ে সোনারগাঁও আনন্দবাজার যাওয়ার জন্য বলেছেন।
তার কথা মতো অপারেশন অফিসার রাশেদের সাথে দেখা করলে সে পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের ভিতরে ট্রাকসহ আমাদের ৩জনকে নিয়ে যায় এবং একটি কক্ষ থেকে কারেন্ট জাল এনে ট্রাক ভর্তি করে বলে চলে যেতে।
সকালে কোস্ট গার্ড স্টেশান থেকে বের হতেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে বেশ কয়জন যুবক তাদের গাড়ি আটক করেন। এরপর চালকসহ ৩জনকে মারধর করে জাল ভর্তি ট্রাকসহ ৩জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের কর্মকর্তারা অবৈধ কারেন্ট জাল, ভারতীয় কাপড়, মাছ নদী থেকে আটক করে তা গোপনে বাহিরে বিক্রি করে দেয়। একাধীকবার প্রতিবাদ করা হলেও তারা উল্টো ভয়ভীতি দেখায়।
আজও তারা আটক করা কারেন্ট জাল বাহিরে বিক্রি করছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কোস্ট গার্ড থেকে জাল ভর্তি ট্রাক বের হলে সড়কে এলাকাবাসী তা আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
এবিষয়ে গুলজার হোসেন বলেন, পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের অপারেশন অফিসার রাশেদ ফোন করে বলেন ৩লাখ টাকা ও ট্রাক পাঠাতে কারেন্ট জাল আছে। তার কথা মত ট্রাকসহ লোক পাঠিয়েছি। সে টাকা রেখে ট্রাকে জাল ভরে দিয়েছে। সেই ট্রাক ভর্তি জাল স্টেশানের বাহিরে কে বা করা আটক করেছে জানিনা।
অপারেশন অফিসার রাশেদ বলেন, সোর্সদের তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালামাল আটক করা হয়। আটককৃত মাল থেকে সোর্সদের কমিশন দিতে হয়। সেই কমিশনের মাল গুলজার হোসেনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের সামনে ট্রাক ভর্তি অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় টহল পুলিশ এগিয়ে গিয়ে তাদের বিক্ষোভের বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় জনতা ট্রাক ভর্তি কারেন্ট জালসহ ৩জনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেন।
এরপর ৩জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি তারা পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশানের ভিতর থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।