সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের লোক পরিচয়ে মো: জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর জমির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার (৭ মে) নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো: জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মো: ফারুক নামে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের এক সহযোগীকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এসময় জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তাসহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোর করিয়া নিয়া যায় বলেও জানা গেছে।

অভিযুক্ত মো: ফারুক নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার পেদা মিয়ার ছেলে এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

অভিযোগে মো: জালাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি মৌচাক বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খোর্দ্দঘোষ পাড়া মৌজাস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৮৪, এসএ খতিয়ান ১৪, সিএস ও এসএ দাগ নং ১২২, ১২৩ এবং আরএস-৫৬২ নং দাগে তাঁর জমিতে মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো: হাসনাইন (৩২) সহ ১০ জন রাজমিস্ত্রী নির্মান কাজ করিতেছিল।

ওই সময় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিবাদী ফারুকসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বেআইনিভাবে ঐ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে তাঁর নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে কথা না বলে কাজ করতে নিষেধ করে অন্যথায় বিপদ হবে।

এসময় রাজমিস্ত্রি হাসনাইন মোবাইল ফোনে আমাকে খবর দেয়ার জন্য ফোন দিলে বিবাদী তাকে চর-থাপ্পর মেরে নীলা-ফুলা জখম করে এবং তার সিম্ফনি বাটন মোবাইল ফোন নিয়া যায় এবং জমির বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।

এসময় বিবাদীরা জমিতে থাকা একটি সাব মার্শেবল পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক তার ও সিমেন্টের বস্তা সহ আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার মালামাল জোরকরে নিয়ে যায়।

এছাড়াও বিবাদীর সাথে যোগাযোগ না করলে জমিতে পাকা নির্মান কাজ করতে দিবে না এবং খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। উক্ত হুমকির পরিপেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন জানান, ফারুক বিএনপির নেতা। সে কোথায় গেল না গেল সেটা তার ব্যাপার। আমার কোন লোক সেখানে যায়নি। আর এখানে আমাকে জড়ানোর কি আছে।

অভিযোগের তদন্তকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন খালাসী জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২