পটুয়াখালীর দুমকিতে র‍্যাবের পোশাক পরে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের বরিশাল সেনানিবাস–সংলগ্ন পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় পুলিশের চেকপোস্টে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাউফল উপজেলার গুলবাগ এলাকার আল আমিন (৫০) ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ইলিয়াস শিকদার (৩৭)। তাঁদের কাছ থেকে দুটি নকল পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি মুঠোফোন, তিনটি র‍্যাবের অ্যাপ্রোন, এক সেট হাতকড়া, গাড়ির দুটি নম্বর প্লেটসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে বরিশালের দিক থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার সেতুর টোল প্লাজায় আসে। সন্দেহজনক হওয়ায় টহল পুলিশের দল গাড়িটিতে তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই প্রাইভেট কারের দুই আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কৌশলে প্রাইভেট কারটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান চালক। পরে আল আমিন ও ইলিয়াসকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়। আজ বুধবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে ২৬টি এবং ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা আছে। তাঁদের আরও কোনো সহযোগী আছে কি না এবং তাঁদের মাধ্যমে কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অসীম কুমার-অপু উকিলের ১৪ ফ্ল্যাট, ৫ দোকানে রিসিভার নিয়োগ 

সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও তাঁর স্ত্রী অপু উকিলের ১৪টি ফ্ল্যাট এবং পাঁচটি দোকান জব্দের পর সেসব সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর অসীম কুমার ও অপু উকিলের সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে ধানমন্ডির ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত ১ হাজার ৯৭৩ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, যেখানে তারা বসবাস করেন।

এছাড়া উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের একটি সাততলা ভবনে থাকা ১৪টি ফ্ল্যাট এবং বসুন্ধরা শপিং মলে অবস্থিত পাঁচটি দোকান জব্দ করা হয়। এ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আইন অনুযায়ী রিসিভার নিয়োগের আবেদন জানায় দুদক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ