আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাধা কোথায়– অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

তিনি বলেছেন, বিএনপি পরিপূর্ণ সংস্কারের পক্ষে। তবে সংস্কার একবারে শেষ করার বিষয় নয়। এটি অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হবে। সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাধা কোথায়? কারও গোছানোর সময় দরকার, কারও বন্ধু জোগাড়ের জন্য সময় দরকার, সে জন্য জনগণের ভোট দেওয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার, এটা বিলম্বিত হবে– এটা হতে পারে না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, একটি দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। তা মোকাবিলা ও সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি বোঝে। কিন্তু তাদের নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ ফ্যাসিবাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আগে থেকেই এক দফার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই গণঅভ্যুত্থান বিএনপির দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলাফল।

সংস্কার একবারে শেষ হওয়ার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার কি একবারে শেষ করার বিষয়? পরিবর্তনের দুটি পথ– একটি বিপ্লব, আরেকটি সংস্কার। আপনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হলে খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়, সবার সম্মতিতে হয়। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন ত ক ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কতগুলো মৌলিক বিষয়ে একতা থাকা দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর। মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একমত হয়ে যদি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা যায় এবং নির্বাচিত সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করলে ভবিষ্যতে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকাতে পারব।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে সুজনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। 

বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকলেও তারা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারত, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিতাড়নের পর অনেকগুলো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে, সেটা বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা দেখা দিত।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন—সুজনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, জমির উদ্দিন সরকার, রফিউর রাব্বি, সুজনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলসহ অনেকে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতেই হবে
  • ‘রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে’
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কি শতভাগ একমত হতে হবে
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে শর্ত যোগ করার প্রস্তাব জামায়াতের
  • কোন কোন অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য, সে ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা থাকা উচিত: এনসিপি
  • উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের আগে ভেবে দেখার আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের
  • বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
  • আত্মত্যাগের পথ পেরিয়ে সুযোগ এসেছে, হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়া
  • প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে আলোচনায় একাধিক প্রস্তাব