ছবি: মোকারম হোসেন

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছোটবেলার প্রিয় বনজাম

আমার জন্ম গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ওখানেই। দল বেঁধে বড় বড় জঙ্গলের পাশ দিয়ে ঢাকা-হালুয়াঘাট সড়কের পাশে কাকনী প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। হাইস্কুলেও একই পথ দিয়ে গিয়েছি। জঙ্গলের নাম না–জানা গাছগুলোকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। অনেক সময় একাও যেতে হতো। সে সময় বই বুকে জড়িয়ে ধরে দিতাম দৌড়। জঙ্গল পার হয়ে তবেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচতাম।

বসন্তে-গ্রীষ্মে জঙ্গলের বনজামগাছে ফল পেকে প্রথমে হলুদ, পরে কালো রঙের হতো। স্কুল থেকে ফেরার পথে দল বেঁধে জঙ্গলে ঢুকে পাকা বনজাম খেতাম। অনেক দিন একাও ডরভয় তুচ্ছ করে বনজাম খাওয়ার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছি। চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ফুলবাহী, ফলবাহী বুনো গাছের ডাল দিয়ে বাড়ির গোয়ালঘর সাজানো হতো। বাড়ির কাজের ছেলের সঙ্গে আমিও ওগুলো সংগ্রহ করতে যেতাম। কাজের ছেলের কাছেই অনেক বুনো উদ্ভিদের স্থানীয় নাম জেনেছিলাম। গোয়ালঘর সাজানোর অন্যতম উপকরণ ছিল বনজামের ফুল ও ফলবাহী শাখা।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের বনজাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ