এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। 

শনিবার (১৭ মে) আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে ‌ঢাকা জেলার বাছাইকৃত ৬০ জন উদ্যোক্তাকে নিয়ে চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওয়েব সাইটের নাগরিক ও এজেন্টের তথ্যের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব সিকিউরিটি যুক্ত করার পাশাপাশি অন্যান্য সিস্টেমের সাথে ইন্ট্রিগেশনের জন্য প্রয়োজনীয় এপিআই তৈরি ও সরবরাহ শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তাদের প্রোফাইল আপডেটে প্রয়োজনীয় ফিচার সংযুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নাগরিক সেবার মোবাইল অ্যাপ বিষয়ক অগ্রগতি সম্পর্কে বিশেষ সহকারী বলেন, ‘‘মোবাইল অ্যাপের সাথে কানেকশনের জন্য এপিআই তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। ডেভেলপার টিমের সাথে মোবাইল অ্যাপের ডিজাইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং নাগরিক সেবার অ্যাপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা মোবাইল অ্যাপের ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছেন।’’

নাগরিক সেবা উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ মোট ৪ কার্যদিবসে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী ৬৫ জনের মধ্যে ২২ জন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি হ্যান্ডস অন প্রশিক্ষণ সেশন রয়েছে। এক্সটার্নাল প্রশিক্ষক আছেন ১৪ জন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে একদিনের হাতে-কলমে এবং ফিল্ড ভিজিট করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়নের জন্য একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার আগে দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

ঢাকা/হাসান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিইউবিটিতে জাতীয় এআই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড ২০২৫’-এর জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এআই অলিম্পিয়াড যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও বিইউবিটি।

গত ৩ ও ১০ মে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়ে ১৭১ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। অংশগ্রাহণকারীরা দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, টেকনিক্যাল শিক্ষা বোর্ড এবং ব্রিটিশ কারিকুলামভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত হন। সকাল ৮টায় অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন এবং উপহার সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে শুরু হয় ৫ ঘণ্টাব্যাপী ‘মেশিন লার্নিং ও প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিডিএআইও’র দলনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন। বক্তব্যে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম শওকত আলী।

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোপযোগী আয়োজনের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

এবারের প্রতিযোগিতায় নতুন সংযোজন হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পাইথন প্রোগ্রামিংবিষয়ক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন এবং শূন্যস্থান পূরণ নিয়ে ৩০ মিনিটের একটি কুইজ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কুইজটিতে জুনিয়র ও সিনিয়র- এই দুই বিভাগে মোট ২৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ‘লিভিং ইন এআই ইরা’ শীর্ষক একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ক্যাগল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

আয়োজনের শেষ অংশে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে। সমাপনী পর্বের শুরুতে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম রৌপ্য পদক বিজয়ী ধনঞ্জয় বিশ্বাসের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের একটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব (আইসিটি প্রমোশন ও গবেষণা অনুবিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ড. মো. তৈয়বুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বিকাশে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ,  বিডিওএসএন’র সভাপতি মুনির হাসান, বিইউবিটির আইকিউএসি ও বিআরআইসি’র পরিচালক অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান এবং আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান রিভ চ্যাটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. রেজাউল হাসান।

এআই অলিম্পিয়াডে প্রথম স্থান অর্জন করেন লাবিব শাহরিয়ার, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আবদুল্লাহ জোবায়ের এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন মো. রিসাত ইসলাম।

এখান থেকে নির্বাচিত বিজয়ীরা চীনের বেইজিং শহরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও বিজয়ীদের সনদপত্র, আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া এবং তারা অনলাইন ও অফলাইন প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।

আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ও সিনিয়র- এই দুইটি বিভাগে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। জুনিয়র শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আকদ ইকবাল হক এবং সিনিয়র শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সাখাওয়াত হোসেন সৈকত। বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজনটির সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিইউবিটিতে জাতীয় এআই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
  • বিস্কুট, পাউরুটি, কেকের প্যাকেট ছোট হচ্ছে, কষ্টে শ্রমজীবী মানুষ