স্মার্টফোনের ভেতরেই থাকা ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন ফিচার দিয়ে কোন অ্যাপ কতটা ব্যাটারি ব্যবহার করবে, তা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যদিকে কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আর এমন ফিচার অ্যানাবল করার প্রয়োজনে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর উল্লিখিত অপশন অ্যানাবল করে দিলেই মিলবে দারুণ সমাধান।
যত্নে থাকুক ব্যাটারি
স্মার্টফোনের ব্যাটারি কখনও শূন্য শতাংশ পর্যন্ত ডিসচার্জ করে শতভাগ চার্জ দেওয়া উচিত নয়। ফলে ব্যাটারি লাইফ ক্রমান্বয়ে বহুলাংশে দুর্বল হয়ে পড়বে। ডিভাইসে ২৫ ভাগ চার্জ থাকতেই ডিভাইসে চার্জ দেওয়া শ্রেয়। সব ডিভাইসের জন্য ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ আদর্শ বলে বিবেচিত। বিশেষ করে গরমের সময়ে অতিরিক্ত চার্জ ডিভাইসের ক্ষতির অন্যতম নেপথ্য কারণ হিসেবে কাজ করে।
চার্জার প্লাগ-ইন অবস্থাতেই যদি থেকে যায়, তাহলে তা নানাভাবে ক্ষতির আশঙ্কায় পড়ে। কারণ, চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে অ্যাডাপ্টার গরম হতে শুরু করে। যার প্রভাব ফোনেও দৃশ্যমান হয়। অনেক সময় ক্ষতিটা হয় ধীরগতিতে। নিয়ম মেনে চললে চার্জার ও ফোন দীর্ঘদিন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। নতুন ঘরানার স্মার্টফোনে অবশ্য নিজে থেকেই চার্জ ডিসচার্জ হওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এয়ার টিকিটে সিন্ডিকেটের অভিযোগ আটাবের
উড়োজাহাজের টিকিটের বাজার আবার সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
শনিবার (১২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব জানায়, গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা ও দাম্মাম রুটে টিকিটের মূল্য ‘গ্রুপ নামেই’ প্রায় ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘কম্পিউটার সিস্টেমে’ এটা উঠে যায় ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের টিকিট বিদেশি এজেন্সির কাছে নাম ছাড়া ব্লক করে দিয়ে আসন সংকট সৃষ্টি করছে। বিদেশি এজেন্সিরা দেশের কিছু সিন্ডিকেট এজেন্সি ও দালালের মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রয় করে টাকা হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কমানোর ফলে আসনও কমে গেছে, যা টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ।
আটাব বলছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এয়ারলাইন্স, গ্লোবাল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও টিকিট সিন্ডিকেট চক্র যাত্রীর নামবিহীন অগ্রিম ‘গ্রুপ বুকিং’ করছে এবং পুনরায় এয়ার টিকিট মার্কেট তাদের সিন্ডিকেশনের দখলে নিয়ে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করেছে। এতে এয়ার টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এর ফলে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আইনিব্যবস্থা না নেওয়ায় টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রমিক ও যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে দাম আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে আটাব।
বাংলাদেশের এয়ার টিকিটের উচ্চমূল্য কমানো এবং এ খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। তাতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। এতে টিকিটের মূল্য কমে আসে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ‘বাজেট’ এয়ারলাইন্স ও সিন্ডিকেট চক্র পুনরায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আটাব।
তারা বলছে, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স ভুয়া নাম দিয়ে টিকিট বুকিং করে রাখে। ভুয়া নামে বুকিং করা টিকিটগুলো ফ্লাইটের এক-দুই দিন আগে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা হয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা