পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা নিয়ে কথা হয়েছে: বিএসই
Published: 19th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজার উন্নয়নে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সে সব নিয়েই অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলাম। আর রটে গেল আমি পদত্যাগ করছি! সারাদিন খালি গুজব ছড়ায় ‘আমি পদত্যাগ করছি’। বাজারে কি এর প্রভাব পড়ে না?
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড.
এর আগে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বৈঠকের সময় নির্ধারিত হলে রবিবার (১৮ মে) রাতে তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সভা শেষে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) তো নিউজ বানিয়ে দিয়েছেন। কোথা থেকে এসব সংবাদ পান? আমি আসলাম প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে; এতক্ষণ তাই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আমি এসেছি একটা কাজে, আর আপনারা বানিয়ে দিলেন পদত্যাগ! এটার একটা প্রভাব বাজারে পড়ে না?
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা প্রসঙ্গে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, তার বেশিরভাগই আমাদের কাজ না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। সেটার কো-অর্ডিনেশন আপনারা করবেন। এটার জন্যই আজকে আসা। এটাকে আপনারা বানিয়ে দিলেন- আমি পৌনে ১০টায় কেন আর্জেন্ট আসছি? আমি পদত্যাগ করব। এই যদি হয়, একটা মানুষ কাজ করবে কি?
কেন বারবার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়াচ্ছে? সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, গুজব ছড়ালো আমি আমেরিকায় যে ফিরবো না? আমি যদি আমেরিকায় যেতাম, সবাই জানে ১২ বছর আমেরিকায় আমার ট্যাক্স ফাইল করতে হয়েছে। আমার তো ওখান থেকে কোনো দিন দেশেই ফেরার দরকার ছিল না। সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল নিউ ইয়র্কের এমপ্লয়ি ছিলাম। আমার পে-রোল হতো নিউ ইয়র্কে। আমার বোনাস হতো নিউ ইয়র্কে। তো আমাকে ট্যাক্সফাইল করতে হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরের চাকরি-বাকরি ছেড়ে সরকারি বেতনে কেন আসছি? দেশের কাজ করার জন্য।
এ সময় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে কী আলোচনা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, সেটা কে কোথায় কীভাবে করবে? কাকে কী দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আগামী বাজেট সামনে রেখে স্টেকহোল্ডাররা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি? জানতে চাইলে রে তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়গুলো দেখছেন। কীভাবে কোথায় এগোতে হবে, কার সঙ্গে কী মিটিং সে বিষয়ে বলেছেন।
আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কোনো সুখবর আসার লক্ষণ দেখছেন কিনা? জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এটা আমরা বলতে পারব না, যারা বাজেট দেবেন তারাই বলতে পারবেন। আমরা আমাদের চাহিদাগুলো জানিয়েছি।
ঢাকা/হাসনাত//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ ব এসইস আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির মধ্যকার করপোরেট করহারের ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বাজার অংশীজনেরা। পাশাপাশি আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়। এর আগে শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও বিএসইসির পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল।
শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার অংশীজনদের সঙ্গে আজ শনিবার বিকেলে বৈঠকে বসে বিএসইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসইর চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান, শাকিল রিজভী ও রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় শেয়ারবাজারের মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল মওকুফ, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর থেকে অগ্রিম কর কমানো, ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে প্রাপ্ত আয়ের ব্যবহার, সরকারি কোম্পানি ও বেসরকারি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিসহ বাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে যেসব বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে বিএসইসি ব্যবস্থা নেবে বলে সভায় জানানো হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরে সংস্থাটির আয়ের ৮০ শতাংশই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বাজার অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় সভা করা হবে।