ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কী খাবেন, কী খাবেন না
Published: 21st, May 2025 GMT
গ্রীষ্ণকালে অনেক ধরনের রোগের প্রবণতা বাড়ে। এ কারণে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন । এই গরমে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকেও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তা না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং তার উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে । এ সময়ে ত্বকের জন্য উপকারী এমন কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ ড.
ত্বক সুস্থ রাখার জন্য ডায়েটের কিছু টিপস:
প্যাকেটজাত ফলের রস পান করার পরিবর্তে, তাজা মৌসুমি ফল খান এবং আপনার খাদ্যতালিকায় সালাদ অন্তর্ভুক্ত করুন । ভিটামিনের পাশাপাশি, ফল এবং সালাদে ফাইবার থাকে, যা হজম ব্যবস্থা সুস্থ রাখে । পেট সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখলে, এর প্রভাব মুখেও দেখা যায় ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে খাদ্যতালিকা থেকে চিনি, লবণ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভযুক্ত জিনিসগুলি বাদ দিন । এর পাশাপাশি, জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ত্বকের যত্নে কী করবেন
খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বাড়ান । এরজন্য, আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ এবং ড্রাই ফ্রুট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
বাটারমিল্ক, দই, কারি পাতা, হলুদ, এগুলি সবই ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী ।
ফ্ল্যাক্স সিড, তরমুজের বীজ, সূর্যমুখী বীজে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখুন। চাইলৈ সালাদ বা স্মুদিতে যোগ করে খেতে পারেন ।
পুষ্টিবিদ সুচরিতা সেনগুপ্ত জানান, ডিমে প্রাকৃতিকভাবে বায়োটিন থাকে । এতে উপস্থিত ভিটামিন বি ত্বকের কোষগুলিকে উন্নত করে । ডিমে থাকা মাল্টিভিটামিন এবং প্রোটিন ত্বককে হাইড্রেটেড এবং নরম করে তোলে । এর ব্যবহার বিপাককে শক্তিশালী করে । এটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে, যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে ।
টমেটোও ত্বকের জন্য ভীষণভাবে উপকারী ৷ এটি মুখে ব্যবহারে যেমন উপকার আসে তেমনই খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায় ৷ এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু জিনিস ত্বকের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর ৷
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ দ যত ল ক ত বকক উপক র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনী আচরণবিধির নীতিগত অনুমোদন করেছে ইসি
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এসব নীতিমালা এখনই চূড়ান্ত করবে না নির্বাচন কমিশন। এসব নীতিমালা নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও কিছু সুপারিশ আছে। আইন সংশোধনের বিষয়ও আছে। নীতিমালাগুলো চূড়ান্ত করতে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত ইসিকে অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
আজ দুপুরে ইসির সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা–২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫–এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় বিধিমালা ও নীতিমালা বিশদভাবে আলোচনা করে খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নসহ নানা ধরনের নতুন বিষয় প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যমান ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়েও প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা, ইসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করার কথা বলা আছে। ইসি এই কমিটির বিধান বাদ দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা কমিশনের অধীন আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে নীতিমালা থেকে।
আরও পড়ুনরাজনৈতিক বক্তব্যে মন্তব্য নয়, ইসি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে: কমিশনার আবুল ফজল৩ ঘণ্টা আগে