শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় করা দুটি পৃথক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদসহ ৬৪ জন নেতা-কর্মী। আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নার এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবর জহির উদ্দিন ব্যাপারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় সব আসামিকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০–দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাতে চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা রোড–সংলগ্ন রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে জসিম মিয়াকে (৪৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতীয় ভ্যাকসিন-বীজ বিক্রি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

শেরপুরে বালু উত্তোলন: ৯ জনকে কারাদণ্ড

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে পাট কাটা নিয়ে লিল মিয়ার (৭৫) সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার ছেলে জসিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে ঘর থেকে কাঠ নিয়ে এসে বাবার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন জসিম উদ্দিন। এতে রক্তাক্ত হয়ে বৃদ্ধ লিল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জসিম উদ্দিনকে দায়ী করে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। একই বছরের ২৭ আগস্ট একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় এবং ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩২৩ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে আজ আদালত জসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন খান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। 

তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হক রিটন বলেছেন, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন দুই প্রার্থী
  • ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেবে সিআইডি
  • না’গঞ্জ সদরে কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
  • আসিফ নজরুলের কাছে দুই কোর্ট একত্রে রাখার দাবি জানালেন আনোয়ার প্রধান
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
  • জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘জুলাই যোদ্ধা’কে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা
  • বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর, আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা
  • কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল চেয়ে সাবেক ১১ কর্মীর রিট
  • কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক চিকিৎসক সাফিয়াকে কেন মুক্তি দেবে না ইসরায়েল