রাজধানীর কাজলা এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস না থাকার প্রতিবাদে আজ বুধবার যাত্রাবাড়ী-কাজলা সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় লোকজন। এতে যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তাঁরা।

অবরোধ চলাকালে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, সড়কের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় কাজে বের হওয়া মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।

মো.

আলী নামের কাজলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘পবিত্র রোজার আগে থেকে বাসাবাড়িতে রান্নার গ্যাসের সমস্যা চলছে। তবে সাত দিন ধরে একেবারেই গ্যাস নেই। অথচ কাজলার সিএনজি পাম্পে গ্যাস আছে।’

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক অবরোধকারীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন স্থানীয় লোকজন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকায় ছাড়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম ইমন চন্দ্র বর্মণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগে তাঁকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ইমন চন্দ্র বর্মণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের চিঠি তাঁকে পাঠিয়েছিল প্রশাসন। তবে ইমনের দাবি, তিনি হামলায় জড়িত ছিলেন না। প্রশাসন থেকে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলেও এ বহিষ্কারাদেশ এখনো বহাল রয়েছে।

ইমন ও তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার একটি কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা থাকায় ইমন আজ ক্লাস করতে এসেছিলেন। ক্লাস করে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে রেলওয়ে স্টেশনে ছাত্রদলের কর্মীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর সেখান থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে মারধর করার পর ইমনকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখানে বহিষ্কারের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি।

ছাত্রদলের যেসব কর্মী ইমনকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান, তাঁদের একজন সাঈদ মো. রেদোয়ান। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ক্লাস করছেন, এমন খবর পেয়ে তাঁরা ইমনকে আটক করেছিলেন। এরপর প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন।

রেদোয়ান ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুনুর রশিদের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কারাদেশ স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বহিষ্কৃতদের কেউ ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না। এরপরও নিষিদ্ধঘোষিত দলের এক কর্মী ক্যাম্পাসে এসেছেন। তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্র হচ্ছেন। নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। তাঁরা এটা প্রতিহত করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কারাদেশ থাকার পরও ক্লাস করতে এসেছিলেন একজন। তিনটি ক্লাসও করেছেন। বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছিলেন, ক্লাস করতে আসার পর তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন। তবে এ ঘটনার সত্যতা পাননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ