চবি শিক্ষার্থীর হারানো মোবাইল পেয়ে ফেরত দিলেন রিকশাচালক
Published: 21st, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর হারানো মোবাইল পেয়ে ফেরত দিয়েছেন মো. জাফর নামের একজন রিকশাচালক।
বুধবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননের কাছে মোবাইলটি জমা দেন তিনি।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড় থেকে ওই রিকশায় উঠে দুজন শিক্ষার্থী পুরাতন কলা অনুষদে নামেন। তাদের একজন রিকশায় মোবাইলটি রেখে চলে যান। পরে রিকশায় একটি মোবাইল পেয়ে এর মালিককে খুঁজছিলেন তিনি। কিন্তু না পেয়ে মোবাইলটি প্রক্টর অফিসে জমা দেন ওই রিকশাচালক।
রিকশাচালক মো.
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, “অ্যান্ড্রয়েট মোবাইলটি পেয়ে রিক্সাচালক প্রক্টর অফিসে জমা দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, তিনি একজন নির্লোভ মাটির মানুষ। পরে প্রকৃত মালিককে মোবাইলটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পারকিনসন্স রোগের কারণ ও করণীয়
বাংলাদেশে প্রতি লাখে চারজন পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্রবীণ ব্যক্তিরা এ রোগের কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। পরিবারের বোঝায় পরিণত হতে থাকেন তাঁরা। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পারিবারিক ও মানসিক সহায়তা জরুরি। এই সহায়তা পেলে একজন পারকিনসন্স রোগী দীর্ঘদিন ভালো থাকেন।
কারণ
পারকিনসন্স রোগটি স্নায়ুর ক্ষয়জনিত রোগ। পারকিনসন্স রোগে মস্তিষ্কের নিউরনের (স্নায়ুতন্ত্রের একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কোষ) একটি রাসায়নিক সংকেত ডোপামিনের পরিমাণ হ্রাস পায়। এতে করে স্নায়ুর স্বাভাবিক কাজগুলো ঠিকঠাক সম্পন্ন হয় না। এর ফলে দেহের বিভিন্ন মাংসপেশির কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। সমস্যাগুলো শুরুতে মৃদু থাকলেও ধীর ধীরে তা বাড়তে থাকে। এতে রোগী তাঁর স্বাভাবিক জীবনের কাজগুলো একসময় আর করতে পারেন না।
বাংলাদেশে প্রতি লাখে চারজন পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত।কী কী ঝুঁকি
যাঁদের বয়স ৬০ বা তারও বেশি, তাঁদেরই পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণত পুরুষেরা এই রোগে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হন। যাঁদের পরিবারে এই রোগে কারও আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও বেশি। কিছু রাসায়নিক (কেমিক্যাল) যেমন কীটনাশক ও ওষুধের কারণে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যাঁরা মাথায় বারবার আঘাত পান, তাঁদের পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
লক্ষণ
মাথায় বা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা; পেশির অনমনীয়তা; ধীরগতিতে চলাফেরা; হাঁটার সময় ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শিতা; বিষাদগ্রস্ততা; ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি ও চোখের পাতার কম সঞ্চালন; বিভ্রান্তি ও স্মৃতিশক্তি লোপ এবং দুর্বলতা ও অনিদ্রা।
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা
যদি পরিবারে প্রবীণ ব্যক্তিদের স্বাভাবিক কাজ করার সময় ওপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে দেখেন তাহলে দ্রুত ও জরুরিভিত্তিতে একজন নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। পারকিনকসন্স রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সারা জীবন কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়।
ওষুধের পাশাপাশি ‘ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন’ নামক পদ্ধতিতে একটি ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের ভেতরে স্থাপন করা হয়। আর রোগীর বুকে একটি ‘পেসমেকার’ স্থাপন করা হয়। পেসমেকারটির সাহায্যে নির্দিষ্ট মাত্রায় বৈদ্যুতিক স্পন্দন মস্তিষ্কে পাঠানো হয়। ফলে রোগীর শরীরের কাঁপুনি ও জড়তা দূর করা যায়। তবে এ পদ্ধতি জটিল ও ব্যয়বহুল। পারকিনসন্স রোগের স্থায়ী কোনো প্রতিরোধব্যবস্থা এখনো নেই। পরিবারের সদস্যরা সহানুভূতির সঙ্গে পরিচর্যা ও তদারক করলে, যত্ন নিলে রোগীর ভালো থাকার সময়কাল বাড়ে।
ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী: অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল