মুস্তাফিজুর রহমান শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্তভাবে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মাকে, দেন মাত্র ৩ রান। তবে শুরুটা যতটা ভালো হয়েছিল, এরপর আর তেমন ছন্দে থাকতে পারেননি এই বাঁহাতি পেসার। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ।

কিন্তু তার দল দিল্লি ক্যাপিটালস পারেনি জয়ের মুখ দেখতে। ঘরের মাঠে ৫৯ রানে হার মানতে হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে মুম্বাই। অন্যদিকে এই পরাজয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে দিল্লি।

টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল দিল্লি। ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদব দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ৪৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এছাড়া রায়ান রিকেলটন করেন ২৫, উইল জ্যাকস ২১ এবং নামান ধির ৮ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই সংগ্রহ করে ১৮০ রান।

জবাবে দিল্লির ইনিংস ধসে পড়ে দ্রুতই। লোকেশ রাহুল ১১, সামির রিজভি ৩৯, ভিপরাজ নিগম ২০ এবং আশুতোষ শর্মা ১৮ রান করলেও বাকিরা একেবারেই ব্যর্থ। ১৮.

২ ওভারে মাত্র ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজ ফিরেন শূন্য রানে, বোল্ড হন জাসপ্রিত বুমরাহর বলে।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে থেকেই বিদায় নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতা করবেন না: মজিবুর রহমান মঞ্জু

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতা করবেন না। মানুষ তখনই আওয়ামী লীগ গুম, খুন ভুলে যাবে, যখন আগের ‘মজলুমরা’ একই রকম পাশবিক আচরণ করবে।
 
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যেগে ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কয়দিন আগেও সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। কে ছোট, কে বড় প্রশ্ন তুলিনি। তাহলে আজ কেন এতো বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছি? শত্রুর হাতে আমাদের রক্ত ঝরলে কিংবা নিগৃহীত হয়ে জেলে গেলেই আমরা শুধু ঐক্যবদ্ধ হই।
 
বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনো সংস্কারে এই রোগ সারবে না। ক্ষমতা পেয়ে অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোন দলের পক্ষেই দেশে পরিবর্তন সম্ভব না। হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি করি, সবাইকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধরা ক্ষমা করবে না। 
 
বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ