এটাকে কী দারুণ একটি দিন বলা যাবে নাকি হতাশায় মোড়ানো? রেকর্ড গড়ে জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান বেনেট সকালে করলেন ১৩৯ রান। বিকেলেই আবার ব‌্যাটিংয়ের সুযোগ হলো। করলেন মাত্র ১। সকালের সাফল‌্য বেনেট উপভোগ করবেন নাকি বিকেলের ব‌্যর্থতা? মিশ্র অনুভূতি!

ইংল‌্যান্ডের রানের পাহাড়ের জবাবে জিম্বাবুয়ের ব‌্যাটসম‌্যানরা অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে বেনেট করলেন কেবল ১৩৯ রান। ইংল‌্যান্ডের ৬ উইকেটে ৫৬৫ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করতে পারে ২৬৫ রান। ইনিংস হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ এখন জিম্বাবুয়ের সামনে।

২ উইকেটে ৩০ রান তুলে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। এখনো তাদের করতে হবে ২৭০ রান। নটিংহ‌্যামে দ্বিতীয় দিনেই জয়ের আভাস পেতে শুরু করেছেন ইংলিশরা।

শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলায় সব আলো নিজেও ওপর কেড়ে নিয়েছেন বেনেট। ২৬ চারে ১৪৩ বলে ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ ওপেনার। সেঞ্চুরিতে পেতে মাত্র ৯৭ বল খেলেন যা জিম্বাবুয়ের ৩৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম।

শুরু থেকে বেনেট ছিলেন মারমুখী। প্রথম ওভারে স‌্যাম কুককে তিন চার মারেন। ৫৬ বলে পঞ্চাশ রান ছুঁতে উইকেটের চারিপাশে মেরেছেন ১০ চার। এরপর খুব দ্রুত পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। ২৫ বছর পর জিম্বাবুয়ের কোনো ব‌্যাটসম‌্যান ইংল‌্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরি পেলেন। ২০০০ সালে ট্রেন্ট ব্রিজেই ২৫০ বলে অপরাজিত ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মারে গুডউইন।

তৃতীয় উইকেটে বেনেট ও শন উইলিয়ামস স্কোরবোর্ডে ৬০ রান যোগ করেন। বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। তাতে প্রথম ইনিংসে অল্পরানে গুটিয়ে যায় অতিথিরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

ইংল‌্যান্ডের হয়ে বল হাতে ৬২ রানে ৩ উইকেট নেন বাশির। স্টোকস ১১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।

ফলো অনে পড়ে ব‌্যাটিং করতে নেমে বেনেট শুরুতেই ফিরে আসেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে অ‌্যাটকিনসন তাকে এলবিডব্লিউ করেন। তার দেখানো পথ ধরে ফেরেন আরভিন। অষ্টম ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে স্কোরবোর্ডে আরো ২৩ রান যোগ করে দিনের শেষ প্রান্তে। কারানের সঙ্গে অপরাজিত আছেন উইলিয়ামস।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট করল ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।

বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।

বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।

বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।

ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ