খুলনায় ১০ দফা দাবিতে ৮ ঘণ্টা জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ
Published: 25th, May 2025 GMT
খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে পেট্রলপাম্পগুলোও বন্ধ রয়েছে। তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মসূচির কারণে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মীর মোকসেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ছয়টা থেকে খুলনার ডিপোগুলো থেকে কোনো তেল উত্তোলন ও পরিবহন করা হয়নি। জ্বালানি তেল পরিবেশক মালিকপক্ষ এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। জ্বালানি তেল বিপণনও বন্ধ রয়েছে।
খুলনার তিনটি ডিপো থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৯ লাখ লিটার জ্বালানি তেল খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ১৫ জেলায় সরবরাহ করা হয়।
জ্বালনি তেল পরিবেশকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রয়ের কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা; সড়ক অধিদপ্তরের ইজারা, ভূমির ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখতে হবে; পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারাপ্রাপ্ত ভূমির নবায়নকালে ইজারা নবায়নের আবেদনের সঙ্গে নির্ধারিত ইজারা–মাশুলের পে-অর্ডার, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দিলে ওই ইজারা নবায়ন বলবৎ বিবেচিত হওয়ার বিধান করা; বিএসটিআই কর্তৃক আগের মতো শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট, স্টেম্পিংয়ের পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা, বিভিন্ন ফি আগের মতো করা, আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস ও নিবন্ধনপ্রথা বাতিল করা।
১০ দফা দাবির মধ্যে আরও আছে, যেহেতু পেট্রলপাম্প শিল্প নয়, এটি কমিশন এজেন্টভিত্তিক ব্যবসা, তাই পেট্রলপাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিআরসি, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স বা নিবন্ধনের বিধান বাতিল করতে হবে; দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনবিহীন ও অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে ও খোলা জায়গায় যত্রতত্র মেশিন স্থাপন করে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করা, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে; ট্যাংকলরির চালকসংকট কাটাতে ট্যাংকলরির চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজতর করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামানো যাবে না। তেলের ডিপো গেটে ট্যাংকলরির কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তজেলা রুটে পারমিট ইস্যু করতে হবে।
আজ সকালে খালিশপুরের কাশিপুরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের গেট ও এর আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে ট্যাংকলরি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শহরের পেট্রলপাম্পগুলো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে না।
শহরের নতুন রাস্তা এলাকার মেসার্স খুলনা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী গোলাম কাদের জানান, পাম্পে সব ধরনের জ্বালানির মজুত আছে, তবে সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁরা তেল বিক্রি করবেন না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ট রলপ ম প পর বহন কলর র
এছাড়াও পড়ুন:
অডিও ফাঁস: মিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বদলি
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংযুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আদালতের রায়ে মিরপুর পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়রের গেজেট প্রকাশ আটকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার জেরে তাকে বদলি করা হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিমকে বদলি করা হয়।
আরো পড়ুন:
চবিসাসের নেতৃত্বে জানে আলম-মাহফুজ
রাজনীতির ফাঁদে পড়ে শিল্পীরা বিপদে, মন্তব্য বাপ্পারাজের
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিমকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বদলি করা হয়েছে। মো. সাঈদ আহমেদ নাসিমকে বৃহস্পতিবারের (২২ মে) মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, আগামী শনিবার (২৪ মে) তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
অভিযোগ রয়েছে, গেজেট প্রকাশ ঠেকাতে ইউএনও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে (ইউএনও অফিসের অধীন নির্বাচন অফিসার) প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সরবরাহের নির্দেশ দেন। তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিমের কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র না থাকায় তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. এনামুল হকের কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহের চেষ্টা করেন।
তবে এই কাজ করতে গিয়ে তিনি একটি ভুল করে বসেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. এনামুল হককে টেলিফোন করতে গিয়ে ভুলবশত আদালতের রায়ে বিজয়ী ‘মোবাইল’ প্রতীকের প্রার্থী আরিফুর রহমানকে ফোন করে ফেলেন। এরপর গেজেট আটকাতে ইউএনওর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আরিফুর রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চান তিনি। এছাড়া ‘ফরম-চ’ দিয়ে সহায়তা করতে বলেন।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী