ইস্তাম্বুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বৈঠক করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে দেশটির নতুন নেতৃত্বের কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে শনিবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরদোয়ানের সঙ্গে শারার এ বৈঠক সম্পর্কে আগে কিছু জানানো হয়নি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ইস্তাম্বুলের কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের বেসরকারি চ্যানেল এনটিভি।

গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে আল-শারা ক্ষমতায় আসেন। তাঁরা দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সিরিয়ার নতুন শাসকদের প্রতি শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে আঙ্কারা। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দপ্তরের বাইরে দুই নেতাকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।

ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিরিয়া-তুরস্কের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, গোয়েন্দাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, আলোচনায় উভয় পক্ষ একাধিক অভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, তুরস্কের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান বৈঠকে অংশ নেন।

বাশার আল-আসাদের পতনের পর আল-শারার নেতৃত্বাধীন নতুন সিরিয়ার প্রশাসন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক দেশ তাদের অতীত নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

বৈঠকে এরদোয়ান ও আল-শারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে বিদেশি কুর্দি যোদ্ধাদের বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা এবং প্রতিবেশী দেশটিকে জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এরদ য় ন র ত রস ক র আল শ র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় এনসিপি

জুলাই সনদ, সংস্কার, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ও তার সংশ্লিষ্টদের বিচার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক মহলে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে এনসিপি। এ সময় দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এতে জনমনে ও রাজনৈতিক দলগুলো স্বস্তি বা আস্থা পাবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে এনসিপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের একটি তালিকা গত ২২ মে প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এই তালিকার বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে তালিকা করা হয়েছে, সেটি যদি আরও আগেই, ৫ আগস্টের পরপরই প্রকাশ করা হতো তাহলে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য আসত না। এ ছাড়া আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কের ঘটনা এর আগে ঘটেছে। আমরা ওয়ান-ইলেভেনর মতো ঘটনা দেখেছি। এগুলো কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে আনেনি। তাই যার যা কাজ তার সেটির মধ্যেই থাকা উচিত।

অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি। এই দুইজনের পদত্যাগের ব্যাপারে বিএনপির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেন নাহিদ।

নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে আছেন। আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করতে চাইলে সরকারে থেকে তা পারবে না। সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদেরকে এনসিপির সঙ্গে সংযুক্ত করে অপপ্রচার ও হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই দুজনের সরকারে থাকা প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তারা সরকারে রয়েছেন। শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন, অপরাধীদের বিচার এবং সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাগুলো তদারকি করার জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারে গিয়েছিলেন। ফলে তারা সরকার থেকে কখন বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কি না, সেটা তাদেরই সিদ্ধান্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে: চরমোনাই পীর
  • পিএসএল ফাইনালে কি সাকিব-রিশাদ-মিরাজকে একসঙ্গে দেখা যাবে
  • প্রভাসের সঙ্গে দীপিকার পরিবর্তে তৃপ্তি দিমরি
  • ঢাকায় আরেক ফিলিপস: স্বপ্ন গ্লেনের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলা
  • সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ
  • সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় এনসিপি
  • ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি–রোনালদোর এক দলে খেলার সম্ভাবনা দেখেন ফিফা সভাপতি
  • সাঁতরে যমুনা পার
  • ‘আমি আর প্রসেনজিৎ যখন পর্দায় থাকি, তখন সবকিছু ভুলে যাই’