রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে চার মাস আগে নিখোঁজ হওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার তুরাগের একটি বাস ডিপো থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রোববার এ তথ্যগুলো জানানো হয়। পুলিশ বলছে, ব্যবসায়ী আনারুল হোসেনকে খুন করে তুরাগের ওই বাস ডিপোর ভেতরেই পুঁতে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় সন্দেহভাজনক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মী মিলে আনারুল হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করতে বাস ডিপোর ভেতরেই পুঁতে রাখেন তাঁরা।

আনারুল হোসেন শিকদার গত ১৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রাজধানীর তুরাগ থানায় এ নিয়ে ১৮ জানুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার। সম্প্রতি তুরাগ থানা–পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তাঁরা আনারুলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁদের দেখানো স্থান থেকে রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মুহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫৩ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন সালেহা বিবি

সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম সপ্তাহেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল সালেহা বিবিকে। সংসারে ঢুকে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পাট। কিন্তু পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কষ্ট কখনোই ভুলতে পারেননি। এরপর সংসারের অভাব অনটন ও ছেলেদের পড়াশোনা সব মিলিয়ে আর নিজের পড়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে দেরিতে হলেও ধীরে ধীরে সেই ইচ্ছা পূরণ করছেন তিনি। চলতি বছর ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অংশ নিচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী সালেহা। 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তক্তপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সালেহা বিবি তক্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহার আলীর স্ত্রী। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী সালেহার জন্ম ১৯৭২ সালের মার্চে।

সোমবার শাহার–সালেহা দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পড়ার টেবিলে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সালেহা বিবি। তিনি জানান, লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থেকেই  আবার তার লেখাপড়া শুরু। স্বামী ও ছেলেদের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে উপজেলার শ্রীপুর রামনগর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ৪.৬০ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ২৬ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। সালেহা জানান, সুযোগ থাকলে স্নাতক শেষ করে এলএলবি পড়ে আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।

স্বামী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সালেহার পরিবার। বড় ছেলে শামীম হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ছোট ছেলে সাগর হোসেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন।

সালেহার স্বামী শাহার আলী বলেন, অল্প বয়সে আমার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সে আর পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। এজন্য নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তাই তাকে নতুন করে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। সে পড়াশুনায় ভালো করছে। তিনি নিজে স্ত্রীকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেন এবংপরীক্ষা শেষে বাড়ি নিয়ে আসেন।

সালেহার বড় ছেলে শামীম হোসেন বলেন, এখন সুযোগ হয়েছে তাই আমরা মাকে আবার পড়াশোনা করাচ্ছি। এই বয়সে মায়ের লেখাপড়ার ধৈর্য দেখে অবাক হয়ে যাই। মায়ের জন্য গর্ব হয়। 

ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান মনি জানান, সালেহা বিবি তার প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী। তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। 

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, এই বয়সে লেখাপড়া সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সালেহা বিবি অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এমবাপ্পের
  • মেলখুম ট্রেইলে ঘুরতে এসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর, আহত ৩
  • মুরাদনগরে ৩ জনকে হত্যা: ৮ জন রিমান্ডে
  • মেলখুম ট্রেইলে ঘুরেতে এসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর, আহত ৩
  • শরীরে অক্সিজেন বাড়াবে এই রেসিপি
  • মামলা ডিবিতে, ৮ আসামির রিমান্ড চেয়ে আবেদন
  • গাইবান্ধায় মদসহ ৩ কারবারি আটক
  • ৫৩ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন সালেহা বিবি
  • সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদ ৩২ নাগরিকের
  • মাশরুম খাইয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় অস্ট্রেলীয় নারী আদালতে দোষী সাব্যস্ত