রাজধানীর তুরাগে নিখোঁজের চার মাস পর পরিবহন ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
Published: 26th, May 2025 GMT
রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে চার মাস আগে নিখোঁজ হওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার তুরাগের একটি বাস ডিপো থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রোববার এ তথ্যগুলো জানানো হয়। পুলিশ বলছে, ব্যবসায়ী আনারুল হোসেনকে খুন করে তুরাগের ওই বাস ডিপোর ভেতরেই পুঁতে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় সন্দেহভাজনক তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মী মিলে আনারুল হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করতে বাস ডিপোর ভেতরেই পুঁতে রাখেন তাঁরা।
আনারুল হোসেন শিকদার গত ১৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রাজধানীর তুরাগ থানায় এ নিয়ে ১৮ জানুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার। সম্প্রতি তুরাগ থানা–পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তাঁরা আনারুলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁদের দেখানো স্থান থেকে রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মুহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় বিস্তারিত জানানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রেলক্রসিংয়ে উঠতেই বন্ধ হয়ে যায় মোটরসাইকেল, অতপর...
তাড়াহুড়া করে রেলক্রসিংয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন জফির উদ্দিন (৫১)। তবে ক্রসিংয়ে উঠতেই তাঁর মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। এরপর পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের রৌফাবাদ এলাকার কেডিএস কারখানার সামনের রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জফির উদ্দিন মোটরসাইকেল কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আবদুল হক সওদাগরের ছেলে ও বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জফির উদ্দিন মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাওয়া–আসা করতেন। গতকাল গেটম্যান প্রতিবন্ধকতা দেওয়ার আগেই তিনি ট্রেনের লাইনে উঠে পড়েছিলেন। এরপর হঠাৎ তাঁর মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি তা চালু করতে পারেননি। ট্রেনের ধাক্কা লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই ও ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আমজাদী বলেন, ‘কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার ছোট ভাই মারা গেল। বাসা ও কর্মস্থলের একেবারে কাছেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হলো সে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা হতবিহ্বল হয়ে গেলাম।’