মা ও ৬ ভাই–বোন হারিয়ে জ্বলন্ত স্কুলভবন থেকে বেরিয়ে এল ফিলিস্তিনি শিশু ওয়ার্দ
Published: 27th, May 2025 GMT
ইসরায়েলি হামলায় ধসে পড়া ভবনজুড়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তার ভেতর থেকেই হেঁটে বেরিয়ে আসছে একটি শিশু।
গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যাওয়া ফিলিস্তিনি শিশুটির নাম ওয়ার্দ শেখ খলিল।
ওয়ার্দ তার মা ও ছয় ভাই–বোনের সঙ্গে গাজা নগরীর ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে ওই স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় স্কুলের প্রায় অর্ধেক অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮টি শিশু রয়েছে।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলে হামলায় ওয়ার্দের মা ও পাঁচ (আল–জাজিরা ছয় বলেছে) ভাই–বোন নিহত হয়েছেন। ভাই-বোনদের বয়স ২ থেকে ১৮ বছর। তাঁরা সবাই হামলার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। ওয়ার্দের বাবা ও এক ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ওয়ার্দের বয়স সাত বছর। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তার বয়স পাঁচ বা ছয় বছরও বলা হয়েছে।
আগুনের ভেতর থেকে ওয়ার্দকে হেঁটে বেরিয়ে আসতে দেখে উদ্ধারকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানিয়েছে সিবিসি নিউজ।
গতকাল সিবিসি নিউজকে ওয়ার্দ বলেন, ‘আমি আগুন দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। পুরো স্কুলে আগুন জ্বলছিল।’
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলে হামলায় ওয়ার্দের মা ও পাঁচ (আল–জাজিরা ছয় বলেছে) ভাই–বোন নিহত হয়েছেন। ভাই-বোনদের বয়স ২ থেকে ১৮ বছর। তাঁরা সবাই হামলার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। ওয়ার্দের বাবা ও এক ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একজন প্যারামেডিক এবং ওয়ার্দের চাচা আইয়াদ আল-শেখ খলিল ভিডিওতে জ্বলন্ত স্কুলভবনের ভেতর দেখা যাওয়া শিশুটি ওয়ার্দ বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনগাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের ১৮ জনই শিশু১৭ ঘণ্টা আগেআইয়াদ আল-শেখ খলিল সিবিসি নিউজকে বলেছেন, তিনি স্কুলে হামলার খবর পেয়েছিলেন। পরে বুঝতে পারেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা শিশুটি তাঁর ভাইয়ের মেয়ে ওয়ার্দ।
হামলার পর ওয়ার্দ বলেছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আঘাত করে ও স্কুলে আগুন ধরে যায়। আমার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলার অন্যতম লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতালগুলো। এর আগে গত বছরের আগস্টে গাজা নগরীর আল-তাবিন স্কুলে বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় ফজরের নামাজ আদায় করতে স্কুলটিতে জড়ো হওয়া শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র বয়স অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মা ও ৬ ভাই–বোন হারিয়ে জ্বলন্ত স্কুলভবন থেকে বেরিয়ে এল ফিলিস্তিনি শিশু ওয়ার্দ
ইসরায়েলি হামলায় ধসে পড়া ভবনজুড়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তার ভেতর থেকেই হেঁটে বেরিয়ে আসছে একটি শিশু।
গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যাওয়া ফিলিস্তিনি শিশুটির নাম ওয়ার্দ শেখ খলিল।
ওয়ার্দ তার মা ও ছয় ভাই–বোনের সঙ্গে গাজা নগরীর ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে ওই স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় স্কুলের প্রায় অর্ধেক অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮টি শিশু রয়েছে।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলে হামলায় ওয়ার্দের মা ও পাঁচ (আল–জাজিরা ছয় বলেছে) ভাই–বোন নিহত হয়েছেন। ভাই-বোনদের বয়স ২ থেকে ১৮ বছর। তাঁরা সবাই হামলার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। ওয়ার্দের বাবা ও এক ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।ওয়ার্দের বয়স সাত বছর। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তার বয়স পাঁচ বা ছয় বছরও বলা হয়েছে।
আগুনের ভেতর থেকে ওয়ার্দকে হেঁটে বেরিয়ে আসতে দেখে উদ্ধারকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানিয়েছে সিবিসি নিউজ।
গতকাল সিবিসি নিউজকে ওয়ার্দ বলেন, ‘আমি আগুন দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। পুরো স্কুলে আগুন জ্বলছিল।’
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলে হামলায় ওয়ার্দের মা ও পাঁচ (আল–জাজিরা ছয় বলেছে) ভাই–বোন নিহত হয়েছেন। ভাই-বোনদের বয়স ২ থেকে ১৮ বছর। তাঁরা সবাই হামলার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। ওয়ার্দের বাবা ও এক ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একজন প্যারামেডিক এবং ওয়ার্দের চাচা আইয়াদ আল-শেখ খলিল ভিডিওতে জ্বলন্ত স্কুলভবনের ভেতর দেখা যাওয়া শিশুটি ওয়ার্দ বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনগাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের ১৮ জনই শিশু১৭ ঘণ্টা আগেআইয়াদ আল-শেখ খলিল সিবিসি নিউজকে বলেছেন, তিনি স্কুলে হামলার খবর পেয়েছিলেন। পরে বুঝতে পারেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা শিশুটি তাঁর ভাইয়ের মেয়ে ওয়ার্দ।
হামলার পর ওয়ার্দ বলেছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের আঘাত করে ও স্কুলে আগুন ধরে যায়। আমার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলার অন্যতম লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতালগুলো। এর আগে গত বছরের আগস্টে গাজা নগরীর আল-তাবিন স্কুলে বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় ফজরের নামাজ আদায় করতে স্কুলটিতে জড়ো হওয়া শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।