কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ম্যাচে রসায়ন বিভাগকে ১৩৮ রানে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে আইন বিভাগ। 

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রথম ইনিংসে আইন বিভাগ ব্যাটিং করে নির্ধারিত ১৫ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে রসায়ন বিভাগ ১৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা দেখা যাবে যেসব চ্যানেলে

ইফতির সেঞ্চুরি, মঈনের আক্ষেপ

এ খেলায় ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নূরে মুস্তাক এবং প্লেয়ার অব দ্যা টুর্নামেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ।

খেলার পুরস্কার বিতরণী সভায় ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

খেলা শেষে বিজয়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলসহ সেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ টুর্নামেন্টে বাংলা বিভাগকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে অর্থনীতি বিভাগ।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

নৌভ্রমণে গিয়ে নৌকাডুবে দুই মেয়ের মৃত্যু, সাঁতরে বেঁচে ফিরলেন বাবা-মা  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রে নদে শুক্রবার বিকালে নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া বড়বোন নিলার (১৭) লাশ শুক্রবারই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে। ছোট বোন চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া নীহাকে (৯) শুক্রবার খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। তারা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও নীপা আক্তার দম্পতির সন্তান। 

দু’টি সন্তান নিয়ে ছিল তাদের সুখের সংসার। এখন পরিবারটিতে চলছে কেবলই আর্তনাদ। সন্তানদের হারিয়ে এখন কেবলই বিলাপ করছেন। মাঝে মাঝেই মা নীপা আক্তার মূর্ছা যাচ্ছেন। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, মা-বাবা তাদের দুই মেয়েকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে চরফরাদি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরটেকি এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের বেড়িবাঁধে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় নৌভ্রমণে বের হলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। আব্দুর রহমান সাঁতরে রক্ষা পেলেও মা নীপা ও বড় মেয়ে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নীলাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর নীপাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে ছোট মেয়ে নীহাকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। শনিবার বেলা পৌনে ১২টার সময় মরদেহ ভেসে উঠলে ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করে। 

দুই সন্তান হারিয়ে আব্দুর রহমান জানান, দু’টি মেয়ে সারাক্ষণ আনন্দে সংসার ভরিয়ে রাখতো। আশা ছিল- পড়ালেখা করে অনেক বড় হবে। আমরা সমাজে মর্যাদা নিয়ে বাঁচবো। তা আর হলো না। আমাদের একেবারে শূন্য করে চলে গেল। এই শূন্যতা কীভাবে ভুলবো? 

চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাহার আলী জানান, আব্দুর রহমান পাশের পুলেরঘাট বাজারে ভাঙারি ব্যবসা করেন। নিলা ও নীহার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোক বিরাজ করছে। 
  
এর আগে ১ জুলাই সকালে নৌকায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে পাকুন্দিয়ার চরফরাদি ইউনিয়নের চরআলগি গ্রামের তিন শিক্ষার্থী জুবায়ের (৭), শাপলা (১৪) ও শাপলার ভাতিজা আবির (৬) ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবে মারা যায়। শুক্রবারও একই নদীতে ঘটলো আরেকটি দুর্ঘটনা।

এ ঘটনার পর ইউএনও মো. বিল্লাল হোসেন শুক্রবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ চরটেকি এলাকার বেড়িবাঁধে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করেছেন। নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে ভ্রমণের অনুমতি দেবেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ