গ্রিনল্যান্ড কী চায়, সাফ জানালেন প্রধানমন্ত্রী এগেদে
Published: 11th, January 2025 GMT
আর্কটিক অঞ্চলের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে শুক্রবার বলেন, গ্রিনল্যান্ড আমেরিকান হতে চায় না। ডেনমার্কের অধীনেও যেতে আগ্রহী নয়। গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ করতে প্রয়োজনে সামরিক আর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পর এ কথা বললেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে গ্রিনল্যান্ডের ‘মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ’ পাওয়ার অভিপ্রায়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে বলেছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’।
আরও পড়ুনট্রাম্পের কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে০৭ জানুয়ারি ২০২৫ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিউট এগেদে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড নিজের মানুষের (গ্রিনল্যান্ডিক) জন্য। আমরা ড্যানিশ হতে চাই না। আমেরিকানও হতে চাই না। আমরা গ্রিনল্যান্ডিক হতে চাই।’
মিউট এগেদে আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমাদের নিজেদের বাড়ি নিয়ে একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স কমিয়ে ২৫ থেকে ২১ নির্ধারণের সুপারিশ
নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে
তাতে এ সুপারিশের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কাটছাঁট রোধে সংবিধান সংশোধনে গণভোট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীর প্রস্তাব উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হলে তা গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তথা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সংশোধনী প্রস্তাব পাস হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন সুপারিশ করেছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের নাম হবে জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষ হবে সিনেট। জাতীয় সংসদের আসন হবে ৪০০। এর মধ্যে ১০০ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হবেন। বাকি ৩০০ জন বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ১০ শতাংশ প্রার্থী হতে হবে তরুণ। নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ট দলই সরকার গঠন করবে। সরকার গঠনের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা প্রভাব ফেলবে না।
রাজনৈতিক দল প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষে ১০০ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচজন মনোনীত হবেন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। একজন ব্যক্তি জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের একটি পদ বিরোধী দল পাবে। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন।