আর্কটিক অঞ্চলের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে শুক্রবার বলেন, গ্রিনল্যান্ড আমেরিকান হতে চায় না। ডেনমার্কের অধীনেও যেতে আগ্রহী নয়। গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ করতে প্রয়োজনে সামরিক আর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পর এ কথা বললেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে গ্রিনল্যান্ডের ‘মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ’ পাওয়ার অভিপ্রায়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে বলেছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’।

আরও পড়ুনট্রাম্পের কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে০৭ জানুয়ারি ২০২৫

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিউট এগেদে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড নিজের মানুষের (গ্রিনল্যান্ডিক) জন্য। আমরা ড্যানিশ হতে চাই না। আমেরিকানও হতে চাই না। আমরা গ্রিনল্যান্ডিক হতে চাই।’

মিউট এগেদে আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমাদের নিজেদের বাড়ি নিয়ে একটা আকাঙ্ক্ষা রয়েছে.

..এবং সবার এটার প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত।’

গ্রিনল্যান্ডের হিমশৈলর কাছে মাছ ধরার নৌকা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত

চট্টগ্রাম বন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ জেরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে (কাস্টমস ক্যাডার, ব্যাচ ২০তম, বিসিএস নং ২০০১১১১) চাকরি থেকে সাময়ি বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন শাখার ১ জুলাই ২০২৫ তারিখের এক অফিস আদেশে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে বরখাস্ত করা হয়। 

অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৫ সালের ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকায় গুরুত্বপূর্ণ আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কারণ বিশ্লেষণ করে সরকারি শৃঙ্খলা বিধির আওতায় কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

একই অফিস আদেশে তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিসিএস কাস্টমস ক্যাডারের আরেক কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনকে (ব্যাচ ২৮তম, বিসিএস নং ২০০১১১১)। বর্তমানে তিনি ঢাকা কাস্টম হাউজে যুগ্ম কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি চাকরিচ্যুত থাকাকালীন নিয়ম অনুযায়ী সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না এবং বিভাগীয় তদন্তের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে বরখাস্তই রাখা হবে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদ হোসেনকে দ্রুত চট্টগ্রামে যোগদান করে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের কপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব, মহাপরিচালক (প্রশাসন), কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট-সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেখানে তিন দিনের পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন এবং তা ঘিরে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ