প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চার সংস্কার কমিশনের প্রধান। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা এই প্রতিবেদন জমা দেন।

চার সংস্কার কমিশনের প্রধান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

তারা হলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড.

আলী রিয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা। একই সঙ্গে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও বিচার ব্যবস্থা এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। 

এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি জোরালো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার ৬ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশনকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে ৭ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে তাদের সময় বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়। এর পর সরকার গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শ্রমবিষয়ক সংস্কারসহ নানা বিষয়ে কমিশন গঠন করে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কানাডা

সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কানাডা। গতকাল শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে, বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নামও সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। দেশের স্থিতিশীলতা বাড়াতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়তে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে কাজ করতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হায়াত তাহরির আল-শাম ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, সিরিয়া সরকারের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের পদক্ষেপকে কানাডা স্বাগত জানায়। অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে সিরিয়ার জনগণের পাশে আছে কানাডা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ