ইনফ্লুয়েন্সার সেই তনির স্বামী মারা গেছেন
Published: 15th, January 2025 GMT
দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি স্বামীর মৃত্যুর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারা জীবনের মত একা করে চলে গেছে।
তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। তনি ও তাঁর স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যেক্তা। এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস 'সানভিস বাই তনি'-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারা দেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির ৬২ কর্মী যোগ দিলেন জামায়াতে
কিশোরগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল করলেন বিএনপির ৬২ কর্মী। পাশাপাশি গণঅধিকার ও ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে আরো দুইজন দল ত্যাগ করেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের ঝাউতলা বাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সবাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন।
নবাগত সদস্যদের গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল) আসনে দলটির সংসদ সদস্য প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কর্নেল ডা. জেহাদ খান।
আরো পড়ুন:
‘কথায় কথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোটের প্রার্থী আসে কেন’
ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব: সপু
বিএনপি ছেড়ে জামায়াতে যোগ দেওয়া কর্মীদের মধ্যে আছেন- করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়ন যুবদল কর্মী আল হারুন, ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী বিল্লাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম খোকন, ছানাউল্লাহ, আল আমিন, যুবদল কর্মী হিমেলসহ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ৬২ জন।
এছাড়া, গণঅধিকার পরিষদের কর্মী আব্দুল জব্বার ও করিমগঞ্জ উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম জামায়াতে যোগ দিয়েছেন।
বিএনপি থেকে জামায়াতে যাওয়া যুবদল কর্মী আল হারুন বলেন, “আমি অনেক বছর ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যে বিএনপিতে আমি কাজ করেছি, সেই বিএনপি অনেক বদলে গেছে। যেহেতু, রাজনীতি করি, বিভিন্ন দল পর্যালোচনা করে দেখেছি, বাংলাদেশে একমাত্র ইনসাফভিত্তিক রাজনীতি করে জামায়াতে ইসলামী। তাই আমি জামায়াতে যোগ দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিবিরের শিক্ষার্থীদের ভোট দিয়ে নেতৃত্বে এনেছেন, এটাও আমাদের এই দলে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কর্নেল ডা. জেহাদ খান বলেন, “বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের যেসব নেতাকর্মী জামায়াতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে আমি স্বাগত জানাই। তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি মনে করি। আমরা সবাই মিলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। দেশে ন্যায় ও ইসলামভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জনগণই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী বলেন, “আমি বিষয়টি জানি। আসলে যারা আমাদের দলের নীতি-আর্দশ ও লক্ষ্যতে একমত এবং সেই মোতাবেক কাজ করতে বিশ্বাস রাখেন, তারাই যোগ দিতে পারেন। তার মানে এই না, যে কেও যোগ দিতে চাইলেই আমরা তাদের মেনে নেব। আমরা প্রথমেই তাদের যাচাই-বাছাই করব, তারা কোন দল ত্যাগ করে আমাদের দলে আসতে চাচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে যাবতীয় বিষয় যদি সঠিক থাকে, তাহলেই আমরা তাদের দলে অর্ন্তভুক্ত করব।”
কর্মীদের দল ত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমি পাইনি। খোঁজ নেওয়া হবে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ