দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি স্বামীর মৃত্যুর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারা জীবনের মত একা করে চলে গেছে।

তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। তনি ও তাঁর স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যেক্তা। এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস 'সানভিস বাই তনি'-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারা দেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের রাতভর সড়কে অবস্থানের সিদ্ধান্ত

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাতভর সড়কে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, “আমরা আজ রাতে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল (মঙ্গলবার) কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

আরো পড়ুন:

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ 

অবরোধ তুলে নেওয়ার খবর, তবে সড়কে আছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৪-১৫ মাস আমরা শিক্ষার অধিকারটুকু আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে সংগ্রাম করে করে, আন্দোলন করে করে আজ ক্লান্ত! ক্লান্তির একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, যে কারণে এখন আমরা অধ্যাদেশ না নিয়ে আর বাসায় ফিরছি না।”

সংবাদ সম্মেলনে ফাহাদ বলেন, “পূর্বঘোষিত এক দফা দাবি আদায়ের অভিপ্রায়ে গতকাল সকাল ১০টা থেকে আমাদের এক দফা কর্মসূচি শুরু হয়, রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সাতটি পয়েন্ট থেকে আলাদা আলাদাভাবে বৃহৎ পদযাত্রা করে শিক্ষা ভবনের অভিমুখে এসে অবস্থান নেই আমরা, পরবর্তীতে বেলা ৩টায় আমরা কলেজ রোড, আব্দুল গণি রোড, দোয়েল চত্বর ও হাইকোর্ট থেকে রাস্তার ক্রসিং তথা এই চৌরাস্তাটি আমরা ব্লকেড করি।”

তিনি বলেন, “পরবর্তীতে আমরা সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে চৌরাস্তাটির ব্লকেড ছেড়ে দিই, পাশাপাশি আমরা আমাদের লাগাতার ১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিই। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা শিক্ষা ভবনের সামনের দিকটায় সারা রাত অবস্থান করি এবং সকাল থেকে আমাদের অন্য সহপাঠী শিক্ষার্থীরা পুনরায় অংশগ্রহণ করলে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি এই চৌরাস্তাটি ব্লকেড করি। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আজকের সন্ধ্যার দিকে পুনরায় চৌরাস্তার ব্লকড ছেড়ে দিই।” 

“আজকের কর্মসূচি চলাকালে মন্ত্রণালয় আমাদের নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীকে আহ্বান করে মিটিং করার জন্য। মিটিং চলাকালীন আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি প্রেস রিলিজ দেখতে পাই, সেখানে অধ্যাদেশের ব্যাপারে কোনো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি,” বলেন ফাহাদ।  

“অতএব, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান রাখার অভিপ্রায়ে আমরা আগামীকাল পর্যন্ত এখানে লাগাতার দিনরাত অবস্থান করব, পাশাপাশি এর মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি ও আমাদের দাবির ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের গতিবিধি বিবেচনায় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব,” ফাহাদের কণ্ঠে কড়া বার্তা উচ্চারিত হয়।

তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের এক দফা দাবি অর্থাৎ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ না নিয়ে আর বাসায় ফিরছে না,”

অবশ্য রাতের মধ্যে সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয় কি না, বা উভয় পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা আসে কি না; সেসবের ওপরই মঙ্গলবারের কর্মসূচি নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ