দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি স্বামীর মৃত্যুর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারা জীবনের মত একা করে চলে গেছে।

তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। তনি ও তাঁর স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যেক্তা। এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস 'সানভিস বাই তনি'-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারা দেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভরা মৌসুমেও মাছ ধরতে ভয় টেকনাফের জেলেদের

চলছে নভেম্বর মাস। কক্সবাজারে সাগর-নদীতে এখন মাছ ধরার ভরা মৌসুম। প্রতিবছরই এ সময়টাতে জেলেরা দল বেঁধে মাছ ধরতে সাগরে ও নদীতে যেতেন। তবে এ বছর ব্যতিক্রম। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) আতঙ্কে মাছ ধরছেন না জেলার টেকনাফ উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার জেলে।

জেলেরা জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদী ও সাগরে মাছ শিকারে নামলেই আরাকান আর্মি ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে আরাকান আর্মির তৎপরতা কিছুটা কম থাকলেও চলতি নভেম্বরে ধরে নেওয়ার হার বেড়েছে। এ মাসে পৃথক পাঁচটি ঘটনায় ২৯ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে জেলেপল্লিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভরা মৌসুমে মাছ ধরতে না পারায় অনটনেও দিন যাচ্ছে অনেকের।

সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ সাগরে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু ট্রলার নিয়ে সেখানে গেলেই আরাকান আর্মি তাড়া করে। মাঝেমধ্যে গুলি ছুড়ে ট্রলারসহ জেলেদের জিম্মি করছে। এই আতঙ্কে অন্তত পাঁচ হাজার জেলে মাছ ধরতে সাগরে নামতে পারছেন না।সাজেদ আহমেদ, সভাপতি, টেকনাফের কায়ুকখালী ট্রলার মালিক সমিতি।

সর্বশেষ গত বুধবার ভোরে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়া দ্বীপের দক্ষিণ থেকে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এর আগের দিন মঙ্গলবার গভীর রাতেও একই এলাকা থেকে একটি ট্রলারসহ ৬ জেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়। চলতি মাসের ১২ নভেম্বরও ১৩ জেলেকে নিয়ে যায় তারা। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এই ২৯ জেলের একজনকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি।

দেখা গেছে, টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাটেই দুই শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করা রয়েছে। আর উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, দক্ষিণপাড়া, ঘোলাপাড়ার ঘাটেও নোঙর করা আছে শতাধিক ট্রলার।

জানতে চাইলে টেকনাফের কায়ুকখালী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ সাগরে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু ট্রলার নিয়ে সেখানে গেলেই আরাকান আর্মি তাড়া করে। মাঝেমধ্যে গুলি ছুড়ে ট্রলারসহ জেলেদের জিম্মি করছে। এই আতঙ্কে অন্তত পাঁচ হাজার জেলে মাছ ধরতে সাগরে নামতে পারছেন না।’

টেকনাফের নাফ নদীতে টহল দিচ্ছে বিজিবি। সম্প্রতি উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ