দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি স্বামীর মৃত্যুর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারা জীবনের মত একা করে চলে গেছে।

তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। তনি ও তাঁর স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যেক্তা। এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস 'সানভিস বাই তনি'-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারা দেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঈশ্বরদীতে হামলার ঘটনায় বিবৃ‌তি দিয়েছেন বিএন‌পি

‘পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনতার উপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর অস্ত্রধারী কর্মীরা প‌রিক‌ল্পিত হামলা করেছেন’ উল্লেখ ক‌রে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

বৃহস্প‌তিবার (২৭ নভেম্বর) রা‌তে দল‌টির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব অ‌্যাড‌ভো‌কেট রুহুল ক‌বির রিজভী স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, “ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনতার উপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর অস্ত্রধারী কর্মীরা পরিকল্পিত হামলা চা‌লি‌য়ে অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল স্বয়ং এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারকালে জামায়াত নেতাকর্মীরা তাদের সহজাত ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকেট বিক্রির মত আপত্তিকর বিষয়কে নির্বাচনী প্রচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করায় ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করলে জামায়াত কর্মীরা তাদের উপর মারমুখী আক্রমণ করে। 

‘পরবর্তীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রচাররত নেতাকর্মীরা অতর্কিতে বিনা প্ররোচনায় তাদের আক্রমণের শিকার হন। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে। অথচ দুয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে। সহিংসতায় এই ঘটনার মাধ্যমে দলটির উগ্রতার নগ্ন চিত্র দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চর্চার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 

‘অপরদিকে অযৌক্তিক দাবী দাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা জনগণ প্রত্যাখান করায় মরিয়া এই দলটি এখন সশস্ত্র আক্রমণের ঘৃন্য পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। লক্ষ কোটি সমর্থকের দল বিএনপির এই সংযম ও ঔদার্যকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না। শত উস্কানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কারণ বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।”

বিবৃতিতে সব শেষে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানাচ্ছে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দিন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ