ইনফ্লুয়েন্সার সেই তনির স্বামী মারা গেছেন
Published: 15th, January 2025 GMT
দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি স্বামীর মৃত্যুর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারা জীবনের মত একা করে চলে গেছে।
তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। তনি ও তাঁর স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যেক্তা। এসবে তার কোনও তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস 'সানভিস বাই তনি'-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারা দেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিস ইউনিভার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাদক পাচারের অভিযোগ
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং মাদক ও অস্ত্র পাচার নিয়ে বির্তকের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে প্রতারণার অভিযোগে মালিকদের একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মেক্সিকোয় মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
মিস ইউনিভার্স প্রতিষ্ঠানটির একসময় মালিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সাল থেকে থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ এবং তাঁর কোম্পানি জে কে এন গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা কিনে নিয়েছে।
থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাথাইল্যান্ডে জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জে কে এন গ্লোবালের একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার নিয়ে আইনি বিরোধে জড়িয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি ব্যাংককের আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। থাই গণমাধ্যম অনুসারে, ব্যাংকক সাউথ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গতকাল বুধবার জানিয়েছে, তাঁরা জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবাল ২০২৩ সাল থেকে বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ওই সময় থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটি ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডের দেউলিয়া আদালতে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার ঋণ রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবালের বিরুদ্ধে আর্থিক বিবৃতিতে ‘মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য’ প্রকাশ করার অভিযোগ আনে। এ জন্য তাদের প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ডলার জরিমানা করে।
প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ