জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য শতাধিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু, আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে কথা বলেছি। অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজকে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করব। কালকে (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাব এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করব। একই সঙ্গে কালকে আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর চালু হচ্ছে কি

১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বৈধ পথে মুঠোফোন আমদানির শুল্কহার কমানো ও প্রবাসীদের ফোন আনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এনইআইআরের বিষয়ে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মধ্যের সভায় মুঠোফোন খাত নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিদ্ধান্তগুলো হলো

* প্রবাসীরা ৬০ দিন পর্যন্ত স্মার্টফোন নিবন্ধন ছাড়াই ছুটি কাটানোর সময়ে দেশে ব্যবহার করতে পারবেন। ৬০ দিনের বেশি থাকলে ফোনটি নিবন্ধন করতে হবে।

*  প্রবাসী যাঁদের বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তাঁরা মোট তিনটি ফোন বিনা খরচে সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন। চতুর্থ ফোনের ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে। যাঁদের বিএমইটি  কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহার করা ফোনের পাশাপাশি বিনা খরচে একটি ফোন আনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ফোন কেনার বৈধ কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।

* বর্তমানে বৈধ পথে ফোন আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে। ফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক কমে অর্ধেকের কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। এর ফলে বৈধভাবে আমদানি করা ফোনের দাম কমবে।

* ফোনের আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩ থেকে ১৪টি কারখানায় উৎপাদন করা ফোনের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে, অন্যথায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো এবং তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি–এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

* ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই নম্বর আছে, সেই নম্বরের তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ফোন এবং রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না।

* বর্তমানে ব্যবহৃত মুঠোফোন ১৬ ডিসেম্বরের পর বন্ধ করা হবে না। আর তাই এ সংক্রান্ত গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি আইএমইআই নম্বর ছাড়া ফোন কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এনইআইআর কার্যকরের বিষয়ে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) সভাপতি মো আসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সঙ্গে সরকার বসুক, আমরা এর বিপক্ষে না। আমরা চাই আমাদের সঙ্গে সরকার বসে আলোচনা করুক; কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো চিঠি বা কোনো রকম সাড়া মেলেনি। যদি সরকার আমাদের সঙ্গে না আলোচনা করে আমাদের দাবি না শোনে, ১৬ ডিসেম্বর যদি কার্যকর করে, তাহলে আমরা মোবাইল ব‍্যবসায়ীরা আমাদের যা করা লাগে আমরা তা–ই করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ