জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য শতাধিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু, আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে কথা বলেছি। অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজকে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করব। কালকে (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাব এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করব। একই সঙ্গে কালকে আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন

‘সড়কে শৃঙ্খলা মানুন, নিরাপদ রাজশাহী গড়ুন’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উদ্যোগে ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৫’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরএমপি সদর দপ্তরের সামনে ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান।

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধর 

যশোরে মধ্যরাতে যুবককে হত্যা

আরএমপির কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক সপ্তাহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হোসেন এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে আরএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নগরে একটি বর্ণাঢ্য সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, লক্ষ্মীপুর মোড়, গৌরহাঙ্গা এবং ভদ্রা মোড়ে বৃহৎ পরিসরে ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যারা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আইন প্রয়োগ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণকে বিধিনিষেধ সম্পর্কে সচেতন করছেন।

এছাড়া, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। পথচারী ও যানচালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালীন মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা, যানবাহনের লাইসেন্স ও ফিটনেস যাচাই করা, লিফলেট বিতরণ, পথচারীদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ