সাংবাদিকদের নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 6th, February 2025 GMT
দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা তার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। তবে তিনি ঠিক কবে এই পরিদর্শন যাবেন, তা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়নি। অবশ্য বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব প্রধান উপদেষ্টা কাজটি করবেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আয়নাঘর পরিদর্শন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ড.
আরো পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কমান্ড সেন্টার গঠনের নির্দেশ
অনলাইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম এবং ব্যাপক হারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা হয়।
সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও কথা হয়।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিটি করপোরেশনের নামমাত্র সেবা কত দিন
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর আগে, কিন্তু আজও নগরীর নাগরিকেরা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের প্রায় দেড় লাখ মানুষ সুপেয় পানির মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলেও ওয়াসার মতো পানি সরবরাহের কোনো প্রতিষ্ঠানই গড়ে ওঠেনি। নগরবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও পুরোনো পৌরসভার সেবাই চালু আছে। আর কত বছর পার হলে সিটি করপোরেশনের প্রকৃত সেবা পাবেন নগরবাসী?
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ময়মনসিংহ শহরে ১৩৬ বছর আগে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী যান্ত্রিক উপায়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি শোধন করে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই শহরে আজ মানুষ টাকায় কিনে পাচ্ছেন দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। প্রতি মাসে সিটি করপোরেশনকে টাকা দেওয়ার পরও লাইনে যে পানি আসে, তা ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত এবং তাতে পোকা ও শামুক পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই পচা পানি ব্যবহার করে অনেকের শরীরে চুলকানির মতো নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সিটি করপোরেশন হওয়ার পর নগরের পরিসর বেড়েছে, নগরবাসীর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু পানির সংযোগ পৌরসভা আমলের। ফলে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয়ে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে। চাহিদা, ঘাটতি ও সামর্থ্যহীনতার কারণে শহরটিতে পানি সরবরাহ নিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই। আবার আয়ের তুলনায় ব্যয়ের যে হিসাব দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, সেটিও অনুসন্ধানের বিষয়।
ময়মনসিংহে পানির সরকারি সংযোগ আছে মাত্র সাত হাজার পরিবারের। অন্যদিকে প্রায় দেড় লাখ নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদা মেটাতে সিটি করপোরেশন অনুমোদনের মাধ্যমে বা গোপনে সাড়ে ২২ হাজারের বেশি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনকে উৎসাহ জুগিয়েছে। এই অনিয়ন্ত্রিত পাম্প স্থাপন ও ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদেরা।
সিটি করপোরেশনের বক্তব্য, সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জনসংখ্যা বাড়লেও পানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়েনি এবং রাজস্ব আয় সামান্য হওয়ায় সরকার থেকে বিশেষ প্রকল্প না পেলে বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা নেই।
জানা যাচ্ছে, সিটি করপোরেশন হলেও এর নিজস্ব জনবল কাঠামোই এখনো ঠিক হয়নি। পৌরসভার জনবল দিয়েই চলছে সিটি করপোরেশন। প্রশ্ন হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন কত দিন ‘নামকাওয়াস্তে’ সিটি করপোরেশন হয়ে থাকবে। নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আমরা জোরালো আহ্বান জানাই।