আমরা আত্মবিশ্বাসী, অতি আত্মবিশ্বাসী নই: বিপিএল ফাইনাল নিয়ে চিটাগং কোচ
Published: 6th, February 2025 GMT
কাগজে-কলমে এত বেশি শক্তিশালী দল ছিল না চিটাগং কিংস। তবে তারা এখন পৌঁছে গেছে ফাইনালে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের কাছে হারলেও দ্বিতীয়টিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ বলে পেয়েছে রোমাঞ্চকর জয়। এমন ম্যাচের পর ফাইনালের আগের দিন চিটাগং কোনো অনুশীলন করেনি।
তাদের সময় কেটেছে টিম হোটেলেই। এদিন সন্ধ্যায় বিপিএল ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নেন চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রধান কোচ শন টেইট ও তাঁর সহকারী এনামুল হক।
তুলনামূলকভাবে শক্তিতে পিছিয়ে থেকেও কীভাবে তারা ফাইনালে, এমন প্রসঙ্গে টেইট বলেছেন, ‘স্কোয়াডের মধ্যে আমরা বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। ম্যাজিক হতেই পারে। ভালো জিনিস হলো, টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা খুব বেশি কিছু পরিবর্তন আনিনি। আমরা এভাবেই টুর্নামেন্টে খেলেছি। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা আছে। তবে আমার মনে হয়, আমরা এখানে থাকার যোগ্য।’
আরও পড়ুনশেষ বলে ৪ মেরে ফাইনালে চিটাগং, খুলনার বিদায়০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ফাইনালে চিটাগংয়ের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল, যারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এবারও বরিশাল লিগ পর্বে সবার ওপরে থাকার পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারিয়েছে চিটাগংকেই।
নাটকীয় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল চিটাগং কিংস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল কেন এত ভয়াবহ রূপ নিল
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৮৮ হাজার ৫০০ একর এলাকা পুড়ে গেছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের আয়তনের প্রায় অর্ধেক। দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এলাকা ছেড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসৃষ্ট কোনো দুর্ঘটনা থেকে এই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে। তবে বিস্তর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো ঝোড়ো বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়া। এ ছাড়া দেশটির উত্তর গিয়েওংসাং প্রদেশে পাইনগাছের ঘন জঙ্গল আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যে দ্রুততা ও তীব্রতার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে বড় ভূমিকা রেখেছে পাইনগাছের চিরহরিৎ বৈশিষ্ট্য।দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ লি বিয়ুং-ডো বলেন, পাইনগাছে রেসিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে। রেসিন জ্বালানি তেলের মতো কাজ করে। এটি আগুনকে আরও তীব্র করে তোলে। এর কারণে দাবানল আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, শক্তিশালী রূপ নেয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকে।
দাবানল সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আনডং শহরে। সেখানে পাইনের জঙ্গল রয়েছে। জঙ্গলগুলো স্থানীয় বন্য প্রাণীর জন্য আশ্রয় হিসেবে কাজ করে, সেগুলোর খাবার জোগায়। কখনো কখনো বাতাসের গতি কমাতেও সহায়তা করে এই জঙ্গল। তবে দাবানলের সময় সেগুলো সমস্যা হয়েছে ওঠে বলে জানান লি বিয়ুং–ডো।
দক্ষিণ কোরিয়ার উইসেওং এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির পাশি দাঁড়িয়ে আছেন ৭২ বছর বয়সী কুন ইয়েওং–নাম। এই বাড়িতে ৫২ বছর ধরে বসবাস করেছেন তিনি