কাগজে-কলমে এত বেশি শক্তিশালী দল ছিল না চিটাগং কিংস। তবে তারা এখন পৌঁছে গেছে ফাইনালে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের কাছে হারলেও দ্বিতীয়টিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ বলে পেয়েছে রোমাঞ্চকর জয়। এমন ম্যাচের পর ফাইনালের আগের দিন চিটাগং কোনো অনুশীলন করেনি।

তাদের সময় কেটেছে টিম হোটেলেই। এদিন সন্ধ্যায় বিপিএল ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নেন চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রধান কোচ শন টেইট ও তাঁর সহকারী এনামুল হক।

তুলনামূলকভাবে শক্তিতে পিছিয়ে থেকেও কীভাবে তারা ফাইনালে, এমন প্রসঙ্গে টেইট বলেছেন, ‘স্কোয়াডের মধ্যে আমরা বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। ম্যাজিক হতেই পারে। ভালো জিনিস হলো, টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা খুব বেশি কিছু পরিবর্তন আনিনি। আমরা এভাবেই টুর্নামেন্টে খেলেছি। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা আছে। তবে আমার মনে হয়, আমরা এখানে থাকার যোগ্য।’

আরও পড়ুনশেষ বলে ৪ মেরে ফাইনালে চিটাগং, খুলনার বিদায়০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফাইনালে চিটাগংয়ের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল, যারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এবারও বরিশাল লিগ পর্বে সবার ওপরে থাকার পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারিয়েছে চিটাগংকেই।

নাটকীয় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল চিটাগং কিংস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি, পুলিশ সদস্য ক্লোজড

কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তিমূলক ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফারজুল ইসলাম রনি নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্য ছুটিতে রয়েছেন। তবে তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী মন্তব্য করায় ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল ফারজুল ইসলামকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি ছুটিতে আছেন। তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জুলাই অবমাননাকর পোস্ট করেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুসে ওঠেন ছাত্র সমাজ। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। 

এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তার গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, “কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগের কর্মরত কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি ফেসবুকে জুলাই অবমাননাকর কটূক্তিমূলক পোস্ট করেছেন। আমরা তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি এবং এসপি অফিসের সামনে সড়ক অবরোধ করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।” 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জুলাইকে কটূক্তি করে পোস্ট দিয়েছেন পুলিশ সদস্য ফারজুল। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ওই পুলিশ সদস্যকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।” 

এসময় বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধন, নয়ন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুলতান মারুফ তালহা, রাসেল পারভেজসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ শাহাদাত আলী বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ছুটিতে আছেন।”

ফারজুল ইসলাম রনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই থেকে কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইন্সসহ সব ইউনিটে জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী-সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য পোস্ট না করার জন্য জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ