‘ইয়ো! আ’ম সো জাটফোল অব দিস জোকি অ্যান্ড নিড আ জোল টু হ্যান্ডেল দিস মোগাই পিপল।’

না, এটা কোনো ব্যাকরণজনিত ভুল নয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির (ওইডি) সর্বশেষ সংযোজনে জায়গা করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের কিছু শব্দ এ বাক্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

বাক্যটির অর্থ: ওয়াও, আ’ম সো অ্যানয়েড বাই দিস প্রিজন অ্যান্ড নিড টু স্মোক সাম মারিজুয়ানা টু হ্যান্ডল দিস ইরেশনাল পিপল (ও, আমি এ কারাগার নিয়ে অনেক বিরক্ত এবং এসব অযৌক্তিক মানুষকে সামাল দেওয়ার জন্য কিছু মারিজুয়ানা প্রয়োজন)।

ওইডি-এর ব্যাখ্যায়, নতুন সংযোজিত এ শব্দগুলো অনুবাদযোগ্য নয়।

অভিধানের নতুন সংযোজনে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আয়ারল্যান্ড থেকেও কিছু শব্দ যুক্ত হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২টি দাপ্তরিক ভাষা আছে। এর কয়েকটি থেকে কিছু শব্দ অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে যুক্ত হয়েছে। এসব শব্দ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইয়ো: এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জনপ্রিয় শব্দ। এটি দিয়ে মনের আবেগ–অনুভূতি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি ভাষা আফ্রিকানস ও ইসিক্সহোসা থেকে শব্দটি এসেছে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য অনুসারে, এ শব্দটির উৎপত্তি ১৮৫৫ সালে। বিভিন্ন আবেগ–অনুভূতি যেমন বিস্ময়, প্রশংসা, কষ্ট—এসব বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

জাটফোল: আফ্রিকানস ভাষা থেকে উৎপত্তি হওয়া এ শব্দটি হতাশা ও রাগের অনুভূতি প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য বলছে, শব্দটির উৎপত্তি ১৯৮০ সালে। বিশেষণবাচক এ শব্দটি দিয়ে বোঝানো হয় যে চলমান কোনো পরিস্থিতি নিয়ে একজন ব্যক্তি অত্যন্ত বিরক্ত, অখুশি বা একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছে।

দ্য হেল-ইন: এটি একটি কথ্য বাক্যাংশ। আফ্রিকানস ভাষার এ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো ‘নরকে’।

জোকি: এটিও একটি কথ্য শব্দ। ১৯৭৭ সালে উৎপত্তি হওয়া এ শব্দটি দিয়ে কারাগারকে বোঝানো হয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য বলছে, ভারত থেকে আসা ইংরেজিভাষী প্রবাসীদের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এ শব্দটি পরিচিতি পায়। তবে আফ্রিকানস ভাষার মাধ্যমেই এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইংরেজি ভাষার মধ্যে ঢুকেছিল।

সে সিবেসিবে বা সিবেসিবে: দক্ষিণাঞ্চলীয় সেসোথো ভাষার এ শব্দটি দিয়ে একধরনের প্রিন্ট করা সুতির কাপড়কে বোঝায়। ওইডির তথ্য বলছে, এ ধরনের কাপড় একসময় শুধু নীল রঙের হতো। তবে এখন বিভিন্ন রঙের কাপড় পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক বা অন্য অনুষঙ্গগুলোতে সে সিবেসিবে নকশা ব্যবহার করা হয়।

মাকারাপা: এ শব্দটির উৎপত্তি ১৯৯৯ সালে। এটি দিয়ে নির্মাণশ্রমিক কিংবা খনিশ্রমিকদের মাথায় ব্যবহৃত শক্ত ধরনের হ্যাটকে বোঝানো হয়ে থাকে। ওইডির তথ্যমতে, এ শব্দটি এখন ক্রীড়া অনুরাগীরা বিশেষ করে ফুটবল অনুরাগীরা বেশি ব্যবহার করে থাকে। ক্রীড়া অনুরাগীরা পতাকা, শিং এবং ব্যাজ দিয়ে এই টুপিগুলো রং করে এবং সাজায়। প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন জানাতে খেলার সময় তারা এগুলো পরে থাকে।

জোল: এ শব্দটির উৎপত্তির বিষয়টি অজানা। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্য বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এ শব্দটি দিয়ে মারিজুয়ানা মাদক কিংবা মারিজুয়ানাভর্তি হাতে মোড়ানো সিগারেটকে বোঝানো হয়ে থাকে।

মোগাই: এ বিশেষণটির উৎপত্তি নিশ্চিত করে জানা যায়নি। ধারণা করা হয়, এর উৎপত্তি ১৯৮৪ সালে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্য বলছে, শব্দটি দিয়ে এমন কিছু বোঝানো হয় যা ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক বা যা বাস্তবতার সংস্পর্শে নেই’।

শার্প-শার্প: অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির সর্বশেষ সংযোজনে স্থান পাওয়া এ বাক্যাংশটির উৎপত্তি ১৯৯১ সালে। সাউথ আফ্রিকান ইংলিশ ভাষায় স্বাগত বা বিদায় জানাতে শাপ-শার্প ব্যবহার করা হয়।

কারও স্টাইলের প্রশংসা করতে বা তারা কতটা চমৎকার বা অসাধারণ তা নিয়ে মন্তব্য করতেও শার্প-শার্প ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা থেকে যুক্ত হওয়া সব শব্দের একটি তালিকা অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

মিয়ানমারের (বার্মা) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ফালামের ৮১ কিলোমিটার পূর্বে একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য দিয়েছে।

ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে এই ভূমিকম্পের একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। দুটি টেকটোনিক প্লেট—ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।

আরও পড়ুন‘এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে’২৮ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত