জাপানিদের সুশিক্ষার কৌশলগুলো কি জানেন
Published: 25th, April 2025 GMT
ছবি: পেক্সেলস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির সাবেক ২ উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
রবিবার (৪ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি রুজু হয়েছে বলে রাইজিংবিডি ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
তিনি বলেন, “২০১৮ সালের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে মামলাটি ইতোমধ্যে রুজু হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
দুলাভাইকে হত্যা, শ্যালকের যাবজ্জীবন
গাজীপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাকিব হাসান সুইম ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। এছাড়া অজ্ঞানামা আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাকে কটূক্তি এবং ঢাবি উপাচার্য ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই দুই মামলায় রাশেদ খাঁন গ্রেপ্তার হয়ে যথাক্রমে ১৫ দিন রিমান্ড এবং তিনদিন পুলিশি হেফাজতে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ভুক্তভোগী হিসেবে এখন তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলা দায়ের শেষে গণমাধ্যমকে রাশেদ বলেন, “আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও তখন ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এছাড়া আল নাহিয়ান খান জয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। এই হামলার ঘটনায় তখন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। আমরা সব তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার পরও তা আলোর মুখ দেখেনি।”
তিনি বলেন, “সেদিন কারা আগুন দিয়েছিল, তা খুঁজে বের করতেই এই মামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আমরা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা শুনেছিলাম, তখন আমরা (ডাকসু নির্বাচনে) ১১টি পদে জয়ী হয়েছি। তবে আমাদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই কারচুপি এবং হামলার তদন্তে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তারা এই প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি করেছেন।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী