নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকিগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা
Published: 4th, May 2025 GMT
নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হলে অন্য কমিশনগুলোর রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘জুলাই এর পর মেয়েদের সাইডে বসায় দিয়ে এখন রাজনৈতিক পাড়ায় নারী অধিকার নিয়ে সালিশ বসছে দেখছি। হায়রে নাটক! সরকার তো একটা ঐকমত্য কমিশন বানালো সংস্কার নিয়ে আলাপ করার জন্য। সবগুলো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ঘেঁটে দেখলেই অনেক অবাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবনা চোখে পড়বে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রায়োরিটি বেসিসে সংস্কার প্রস্তাবনার পক্ষে/বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম পরিচিত এ মুখ বলেন, ‘এর মধ্যে নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সর্বস্তরের নারীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রস্তাবনা ঠিক মনে না হলে মত-দ্বিমতের সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে পুরো কমিশন বাতিলের কথা তোলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে?! আর নারীদের কতটুকু অধিকার থাকবে সেটা নিয়ে তো নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাথাব্যথা বেশি। এই কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকি সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্টও বাতিলযোগ্য।’
উমামা বলেন, ‘নারীরা কোনো ব্যবহারের বস্তু না যে আপনার গদি সিকিউর করে রান্নাঘরে ফিরে যাবে। অভ্যুত্থানের পর দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের অধিকারের প্রশ্ন যাদের কাছে উটকো ঝামেলা লাগে তারা আসলে কোন ধরনের রাজনীতি করতে চায় তারাই জানে। নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু জনসম্মুখে সভা-সমাবেশ করে যে সকল বক্তৃতা ঝাড়া হচ্ছে তাতে আপনাদের বিরোধের পরিবর্তে নারীবিদ্বেষটাই বেশি প্রকাশ পায়।’
তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করেই বলতে চাই, নারীদের অধিকার, সুযোগ সুবিধার প্রশ্ন বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি মেইনস্ট্রিম হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে তা পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেছে। স্টেজে গলাবাজি করে, চোখ রাঙানি দিয়ে নারীদের প্রান্তিক করা সম্ভব না।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইয়ের জমি কিনে অর্থ আত্মসাৎ, ন্যাশনাল লাইফের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ভাইয়ের জমি কেনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বুধবার দুদকের উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলা রাজধানীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন মোরশেদ আলমের ছেলে বেঙ্গল কনসেপ্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম এবং ভাই বেঙ্গল কনসেপ্টের পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর মৌজায় শূন্য দশমিক ৮৯৬ একর জমি ও একটি নির্মাণাধীন ১৫ তলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনে।
ওই জমির মালিক ছিলেন জসিম উদ্দিন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে জমি বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন সাইফুল আলম। আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও এটি গোপন রাখা হয় এবং ইনস্যুরেন্স উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে জমি কিনতে অনুমোদন দেওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়, জমিটির প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৫ টাকা। তবে জাল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে তা ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দেখানো হয় এবং সেই ভিত্তিতে পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়। এতে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ হয়, যা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইডিআরএ-কে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য সরবরাহ, সরকারি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপেক্ষা এবং প্রতারণার অভিযোগও আনা হয়েছে।
শিল্পগোষ্ঠী বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম আওয়ামী লীগের টিকিটে নোয়াখালী-২ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৯ এপ্রিল তাঁকে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনবেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার ০৮ এপ্রিল ২০২৫