ঝালকাঠির বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় বিআরটিএ কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়। দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথিপত্র তল্লাশি করেন।

তারা আবেদনকারীদের প্রস্তুতকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন দিনের মধ্যে ঘুষ ছাড়াই দেয়ার পরামর্শ দেন। অন্যথায় এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় দুদক। 

অভিযানকালে বিআরটিএ ঝালকাঠি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এসএম মাহফুজুর রহমান অফিসে ছিলেন না। তিনি পিরোজপুরেরও দায়িত্বে থাকায়, সেখানে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে সিনিয়র এসপির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার, পাশে ‘সুইসাইড নোট’

কক্সবাজারে যুবলীগের মিছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ৩

দুদক পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি জানান, অভিযান চালিয়ে কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এগুলো সমাধান করার জন্য তিন দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয় না বলে অভিযোগ ছিল। প্রস্তুতকৃত লাইসেন্স তিন দিনের মধ্যে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 
 

ঢাকা/অলোক/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন ব আরট এ

এছাড়াও পড়ুন:

এলপিজি গ্যাস ছেড়ে বিক্ষোভ, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন শত শত শ্রমিক

গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টের এলপিজি গ্যাস ছেড়ে শ্রমিক বিক্ষোভ! কাঁধে সিলিন্ডার তুলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক সিলিন্ডার গ্যাস। গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকেছে গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট। ঢেকেছে আশপাশের এলাকা। প্রয়োজন শুধু একটু আগুনের ফুলকি! ভয়ংকর!

ভয়ংকর বললেও কম বলা হবে এই ঘটনাকে। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে এভাবেই প্রাণহানির সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল শত শত মানুষের। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অদূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজের আইওসি বটলিং প্ল্যান্টের। 

প্ল্যান্টের গাড়ির খালাসি ও চালকরা গত শনিবার থেকে দুই চালককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও লোডিং-আনলোডিংয়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছিলেন। চালকদের ধর্মঘটের জেরে প্ল্যান্ট থেকে গাড়ি না বেরোনোয় অসুবিধায় পড়ছিলেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্ল্যান্টের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল ওই চালক এবং খালাসিদের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মঘট তুলে নিতে বলে। কিন্তু তাতে চালক ও খালাসিরা রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়।

আরো পড়ুন:

হাসিতে মিলিয়ে গেল বাঘের আতঙ্ক

তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬

অভিযোগ ওই হাতাহাতি চলাকালীন একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কাঁধে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সিলিন্ডার নিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা এলপিজি ছেড়ে দিচ্ছেন। যার জেরে মুহূর্তেই গ্যাসের ধোঁয়ায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা প্ল্যান্ট ও সংলগ্ন এলাকা। আর এমন পরিস্থিতিতে সামান্য আগুনের সংস্পর্শে ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা। মুহূর্তে ঘটতে পারত বড়সড় গ্যাস বোমা বিস্ফোরণ। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে মুহূর্তে প্রাণ হারাতে পারত শতাধিক শ্রমিক। 

এদিন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে বজবজ থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহেশতলা থানা থেকেও পরে পুলিশ বাহিনী আসে। নামানো হয় র‍্যাফও। এলাকা এখনও থমথমে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ