নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা ১৫০ মণ ইলিশ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। যার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। এ সময় ৩টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হাতিয়া কোস্ট গার্ড স্টেশন ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাংকি ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ৩টি ট্রলার তল্লাশি করে প্রায় ১ ৫০ মণ ইলিশ জব্দ করে। পরে জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা ও প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। ট্রলার মালিককে জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে রফিকুল-রেহানা দম্পতির
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম পৌরসভার গুন্দইল গ্রামের রেহানা-রফিকুল দম্পতির সন্তান নেই। বাস করেন টিনের খুপরি ঘরে। দু’জনই অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারেন না। চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। অর্ধাহার-অনাহারে কাটে দিন। সহায়তা না পেলে এখন বেঁচে থাকাটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের।
রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও রেহানা খাতুন (৪৫) দম্পতির নিজের বলতে আছে ২ শতক জায়গার ওপর খুপরি ঘর। রফিকুল কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। রেহানা খাতুন আগে থেকেই অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারেন না। স্বামীর রোজগারের টাকায় তাদের সংসার ভালোভাবেই চলে যেত। দুই বছর আগে হার্টঅ্যাটাকে রফিকুলের হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। এর পর থেকে চেয়েচিন্তে সংসার চলছিল। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না এই দম্পতি। অন্যের দয়ায় কোনো দিন খাবার জোটে আবার কোনো দিন না খেয়ে থাকতে হয়। চিকিৎসা করানোর কথা ভাবতেই পারেন না তারা।
রফিকুল ইসলাম বলেন, যখন ভালো ছিলাম কাজ করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছি। সংসার চালাতেও সমস্যা হয়নি। দুই বছর হলো বিছানায় পড়ে আছি। কেউ দিলে পেটে ভাত যায়, না দিলে উপোস থাকতে হয়। চিকিৎসা কীভাবে করাব? সরকারি সুবিধা পাই না। প্রতিবেশীরা আর ক’দিন দেখবে? আগামী দিনগুলো কীভাবে যাবে, তা জানি না।
রফিকুল ইসলামের প্রতিবেশী নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক সবুজ কুমার সরকার বলেন, রফিকুলের বাড়ির ওপর দিয়ে আমার যাতায়াত। ওই দু’জনের কষ্ট দেখলে খারাপ লাগে। যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
নন্দীগ্রাম পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, তাদের বিষয়ে শুনেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।