ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চলার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ধর্মশালায় আজ নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় মাঝপথেই বাতিল করা হয়েছে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। 

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়ামে শুরু হয় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে খেলাটি এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হলেও, পাঞ্জাব ১০.

১ ওভারে ১ উইকেটে তোলে ১২২ রান। প্রিয়াংশ আর্য মাত্র ৩৪ বলে করেন ৭০ রান, আর প্রভসিমরান সিং করেন ৫০ রান। কিন্তু এরপর হঠাৎ স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটে বিপর্যয় দেখা দিলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে গোলযোগের কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ম্যাচ ভেন্যু থেকে দ্রুত দল ও দর্শককে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথাও উঠে এসেছে। 

ক্রিকবাজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে সবাইকে দ্রুত স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হয়। যদিও পরক্ষণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বিসিসিআই দুঃখ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, আজ রাত নয়টার কিছুক্ষণ আগে জম্মুসহ সীমান্তবর্তী ভারতের কয়েকটি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই স্টেডিয়ামের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত কাশ্মীরের পেহেলগেম পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা থেকে। এর জবাবে ভারত পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। গতকাল রাতে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাছেই ভারতীয় ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম। এই ঘটনার পর আজকের পেশোয়ার জালমি বনাম করাচি কিংসের পিএসএল ম্যাচটিও স্থগিত করা হয়। একই মাঠে আগামীকালের ম্যাচ লাহোর–পেশোয়ার ম্যাচ আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে।

সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে আইপিএলের সূচিতে। ১১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি ধর্মশালায় হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে। কারণ, ধর্মশালা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বর্তমানে এই অঞ্চলে বিমান চলাচলও বন্ধ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ত জন

এছাড়াও পড়ুন:

সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত না করলে সংকট আসবে: সরকারকে মান্না

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোনোরকম পক্ষপাত করবেন না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করাই হবে এই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নইলে নানা রকম সংকট আসবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মহান মে দিবস ও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
মান্না বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন মনে করিয়ে দিয়েছিল, এবার বদলাতে হবে। কিন্তু কেউ মনে করছে, এই সরকার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে, কেউ মনে করছে– কিছুই হবে না। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের আচরণ আগের মতো। সচিবালয়ে এখনও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের দাপট চলছে। গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমান এসেই ছয় ঘণ্টায় প্রশাসন রদবদল করেন। এই সরকার তেমন কিছুই করতে পারল না কেন? ৯ মাসে সরকার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি।

মান্না বলেন, প্রফেসর ইউনূস সব কথা বিদেশিদের সঙ্গে বলেন। দেশের কারও সঙ্গে বলেন না। করিডোর নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করেননি। কেউ বলছেন আগে বিচার, পরে নির্বাচন। মনে রাখতে হবে, পলিটিক্স ইজ দা কমান্ডার অব দা সোসাইটি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী দিপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ