বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রূপালী আবাসিক এলাকার নদীর পাড়ে হাট বসানোর পাঁয়তারার প্রেক্ষিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রূপালী আবাসিক এলাকার জনৈক বাড়ির মালিক জানান, আমরা নিরিবিলি স্থান মনে করে এই এলাকায় বাড়ি করে স্বপরিবারে বসবাস করছি অথচ প্রতিবছরই একটা শ্রেণীর মানুষ কোরবানীর ঈদকে পূঁজি করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য আমাদের এই আবাসিক এলাকার নদীর পাড়টি বেছে নেয়। 

এখানে কয়েক হাজার পরিবার বসবাস করে। সারাদিনের কাজ শেষে একটু নদীর পাড়ে সময় কাটাবে সেই সুযোগটাও তারা নষ্ট করে দেয়। গরুর হাট সাধারণতঃ আবাসিক এলাকায় বসানোর কোন নিয়ম নেই। এসব হাট বসবে নিরিবিলি বিস্তর জায়গা নিয়ে। লোকালয়ে এসব হাট বসানো হলে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না।

অপরাপর বাড়ির মালিক একই শর্তে জানান, এতোদিন এক দলের নেতারা আমাদের ঘুম হারাম করেছে এখন আরেক দল সেই পাঁয়তারাই করছে। তাদের এই হাট বসানোর কারণে এলাকায় চোর,ছিনকাইকারীদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়ে ওঠে। তার উপরে মাইকের বিকট শব্দে মানুষের জীবন বিষময় হয়ে পড়ে। কে শোনে কার কথা। 

গরুতো আমরাই কিনি নিরিবিলি কোন মাঠে-ময়দানে এই হাট বসালে সবার জন্য মঙ্গল। আমরা চাই এই হাটটি যেন এবার এখানে না বসানো হয় তাহলে আমরা উপকৃত হবো। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন বিষয়টি বিবেচনা করে আবাসিক এলাকায় কোন গরুর হাটের অনুমোদন না দেয়।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

কল্যাণপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ দুজন গ্রেপ্তার

রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় বুধবার ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে কিছু দেশি ধারালো অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাসুদ রানা (৩৫) ও মো. শাহাবুদ্দিন (২৮)।
বৃহস্পতিবার মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল (বুধবার) বিকেলে মিরপুর মডেল থানার একটি টহল দল খবর পায়, ডাকাতির উদ্দেশ্যে কয়েকজন কল্যাণপুর রেডিও কলোনি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত দোকানে অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টহল দলটি সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মাসুদ রানা ও শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন-চারজন দৌড়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমন বলেন, ওই দুজনের কাছ থেকে সাতটি ছুরি ও লোহার চাপাতি, একটি ট্যাব ও আটটি মুঠোফোন এবং তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাসুদ রানা ও শাহাবুদ্দিন সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

তাঁরা মিরপুর মডেল থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করতেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ