Samakal:
2025-05-08@21:41:24 GMT

বড় পতনের পরদিন উত্থান

Published: 8th, May 2025 GMT

বড় পতনের পরদিন উত্থান

আগের দিনের বড় দরপতনের পর গতকাল একই ধারায় শেয়ারাবাজারে উত্থান হয়েছে। বুধবার দেড়শ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ হারানোর পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১০০ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ ফিরে পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। আগের দিনের পতন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার কারণে আতঙ্ক থেকে হতে পারে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেছিলেন। 
বুধবারের বড় দর পতনের পর গতকাল দিনের লেনদেনের শুরু হয় বিপরীত ধারায়। সকাল ১০টায় দিনের লেনদেন শুরুর মূহূর্তে প্রি-মার্কেট লেনদেনে ভর করে ৭ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স সূচক ৪৮০৯ পয়েন্টে ওঠে। প্রথম আধা ঘণ্টায় আরও ৭০ পয়েন্ট বাড়ে ৪৮৮০ পয়েন্ট ছাড়ায়। এর পর উত্থান কিছুটা বিঘ্নিত হলেও ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। পরে লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ারদর ও সূচক বেড়েছে। সোয়া ২টায় আগের দিনের থেকে ১০৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯০৯ পয়েন্ট ছাড়ায়। শেষ পর্যন্ত ১০০ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৪৯০২ পয়েন্টে। 
ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৯টির, কমেছে ১০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭টির। ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে ১৭০ শেয়ারের। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে কেনাবেচা হওয়া ৩৬টির সবগুলোর গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ দর বেড়েছে। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতেও লেনদেন চিত্র ছিল প্রায় একই রকম। 

আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির পর দ্রুত বিনিয়োগকারীদের বোধোদয় হওয়াকে আপাতত স্বস্তি হিসেবে দেখছেন ব্রোকারেজ হাউস সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, না বুঝে আতঙ্কিত হলে শুধু নিজের সাময়িক ক্ষতি হয় না, এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদেও ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, বুধবার অল্প কিছু বিনিয়োগকারীর অল্প কিছু শেয়ার কম দামে বিক্রি করাতেই দর পতনের ধারা গভীর হয়। কেন শেয়ার দর হারাচ্ছে, তা বুঝতে না পেরে অনেকে বিনিয়োগে বিরত থাকেন। যারা শেয়ার কেনার আদেশ দিয়েছিলেন, তারাও ক্রয় আদেশ তুলে নেন। এতে দর পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। গতকাল ছিল এর বিপরীত অবস্থা।

যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, কারণবিহীন ইস্যুতে অস্থিরতার ঘটনা দেশের শেয়ারবাজারে নতুন কিছু নয়। বুধবারের দর পতনের পর বৃহস্পতিবারের দর বৃদ্ধির কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না। কেউ একজন অযথা আতঙ্কিত হয়ে কিছু শেয়ার কম দামে বিক্রি করলে তার ক্ষতি হয়তো অল্পই থাকে; কিন্তু বাকিদের ক্ষতি যোগ করলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় বিশাল। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারবাজারেরও ক্ষতি হয়।

গতকালের খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা এবং বস্ত্র খাতের গড় শেয়ারদর ৩ শতাংশের ওপর বেড়েছে। বড় খাতের ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ২ শতাংশ। অপেক্ষাকৃত ছোট খাতের মধ্যে সেবা ও নির্মাণ, কাগজ ও ছাপাখানা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সিরামিক খাতের দর ৪ শতাংশের ওপর বেড়েছে। শেয়ারদর কিছুটা পুনরুদ্ধারের দিনে কেনাবেচা হয়েছে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার, যা বুধবারের তুলনায় দেড়শ কোটি টাকা কম। একক কোম্পানি হিসেবে বিচ্‌ হ্যাচারির সর্বোচ্চ ২৩ কোটি টাকার এবং একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাতের সর্বোচ্চ ৮৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রব জ র পতন র পর শ য় রদর দর পতন ল নদ ন গতক ল র পতন আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন

ব্যাপক দরপতন চলছে দেশের শেয়ারবাজারে। আজ বুধবার দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রায় সব শেয়ারকে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।

এতে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। সূচক পতনের হার ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ১২৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ হারিয়ে ৪৮২৩ পয়েন্ট পর্যন্ত নামতে দেখা গেছে। পতনের হার বিবেচনায় ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর এটাই সর্বোচ্চ দর পতন। ওই দিন সূচক হারিয়েছিল ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

ব্যাপক দরপতনে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। গত কয়েক বছর ধরেই শেয়ারবাজারে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। তবে আজকের পতনের ভালো ব্যাখ্যা মিলছে না।

পেহেলগাম হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর পর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনার কারণে এমন পতন হতে পারে। 

লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৯৩টির কম-বেশি কেনাবেচা হয়েছে।

এর মধ্যে ৩৭৭টি দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় সামান্য  দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল মাত্র ৮ শেয়ার।

দিনের লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টায় ৩৬৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হতে দেখা যায়।

প্রায় সব শেয়ারের দর পতনে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এ সময় ১১৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ সময়ের সূচক পতনের হার ছিল ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।

আজ সকাল ১০টায় দিনের লেনদেন শুরু হয় পতনে। প্রথম ১৮ মিনিটে ডিএসইএক্স প্রায় ৯৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৫৭ পয়েন্টে নেমেছিল। 

ভারত-পাকিস্তানের শেয়ারবাজার

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর ফলে উভয় দেশের শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যা এশিয়ার অন্যান্য বাজারেও প্রভাব ফেলেছে।

ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ এর কেএসই-১০০ সূচক বুধবার সকালে ৬৫০০ পয়েন্ট বা ৫.৫ শতাংশ পতন হয়। এটি ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে ভারতের শেয়ারবাজারে প্রথমদিকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, বাজার দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে পায়। বুধবার সকালে সেনসেক্স সূচক ৬৯২ পয়েন্ট হ্রাস পেলেও পরে তা ২০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে ৮০,৮৪৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। নিফটি ৫০ সূচকও প্রাথমিক পতনের পর ২৪,৪৩৮ পয়েন্টে পৌঁছাতে দেখা গেছে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব এশিয়ার অন্যান্য বাজারেও দেখা গেছে। সিঙ্গাপুরের এসজিএক্স নিফটি সূচক বুধবার সকালে ১ দশমিক ২০ শতাংশ হ্রাস পেলেও পরে তা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হ্রাসে সীমাবদ্ধ থাকে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক মনোভাবের প্রতিফলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগের দিনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার
  • শেয়ারবাজারে এক যুগে সর্বোচ্চ পতন
  • পুঁজিবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
  • পুঁজিবাজারে বড় পতনে লেনদেন চলছে
  • শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন