ভারতে ৪ টিভির সম্প্রচার বন্ধের ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতে বাংলাদেশের চারটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শুক্রবার (৯ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমেদ জানান, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অন্তত চারটি টিভি স্টেশনকে ভারতের জন্য ‘জিও ব্লক’ করেছে। ফলে ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা চ্যানেলগুলো দেখতে পারছেন না, যা তাদের ভোগদখলের অধিকার ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি লিখেছেন, ব্রডকাস্ট মিডিয়ামের ভৌগোলিক অবস্থান হিসেবে বাংলাদেশকে ব্লক করা আন্তর্জাতিক কনজিউমার রাইটস রীতির পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান। আমরা ইউটিউবের কাছে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইব। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাই, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
এর আগে বিবিসি জানায়, ভারত সরকারের অনুরোধে ইউটিউব থেকে বাংলাদেশি অন্তত চারটি টেলিভিশন চ্যানেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা ডিসমিসল্যাব। ব্লক হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টেলিভিশন, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভি।
ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, তারা ভিপিএনের মাধ্যমে মোট ৩৮টি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে এই চারটি চ্যানেলকে ব্লক অবস্থায় পেয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা টেলিভিশন ইউটিউব থেকে একটি অফিসিয়াল নোটিশ পেয়েছে, যেখানে তাদের চ্যানেল ব্লক করার বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায়, দেশটির সরকার যদি কোনো কনটেন্টকে জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি মনে করে, তবে ইউটিউবকে তা ব্লক করতে নির্দেশ দেওয়ার আইনগত ক্ষমতা রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টারলিংকের বিকল্প কী, জানেন তো
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব তৈরি করছে। পৃথিবীর নিম্নকক্ষপথে বা লো-আর্থ অরবিটে রাখা কয়েক হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স্টারলিংক উচ্চ গতির ও কম ল্যাটেন্সির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে আরও কিছু স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। অনেক জায়গায় নতুন প্রতিষ্ঠান কাজের ঘোষণা দিয়েছে।
ওয়ানওয়েব
স্টারলিংকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে অন্যতম হলো ওয়ানওয়েব। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। ওয়ানওয়েব সেই সব অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে, যেখানে প্রচলিত অবকাঠামো দুর্বল বা অনুপস্থিত। ২০২৩ সালে ওয়ানওয়েব ও ইউটেলস্যাট নামের দুটি বৃহৎ স্যাটেলাইট যোগাযোগ সংস্থা একত্র হওয়ার ঘোষণা করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ স্যাটেলাইট আছে ওয়ানওয়েবের।এর মাধ্যমে ১৯৫ মেগাবাইট ইন্টারনেট গতি পাওয়ার সুযোগ আছে।
অ্যামাজন
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাজারের জন্য তৈরি হচ্ছে। প্রজেক্ট কুইপারের মাধ্যমে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৩ হাজারের মতো স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে। অ্যামাজনের বিশাল গ্রাহকভিত্তি ও অবকাঠামোর মাধ্যমে এই প্রকল্প শক্তিশালী প্রতিযোগী হতে পারে স্টারলিংকের জন্য। এরই মধ্যে অ্যামাজন তাদের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবার অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে।