ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করার পর মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বলেছেন, “একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে তারা।”

এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে রুবিও বলেছেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শরিফের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং রাষ্ট্রনায়কসুলভ মনোভাবের প্রশংসা করি, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন।”

রুবিও আরো বলেন, তিনি ও জেডি ভ্যান্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট) গত ৪৮ ঘণ্টা ভারত ও পাকিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে,এমন কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত

ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ট্রাম্প

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা : ফাঁকা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে আছে ক্ষতচিহ্ন

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করার চিহ্ন। ফটক দিয়ে ঢুকতেই ক্যাম্পাস চত্বরে আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেট কার দেখা যায়। প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষে আসবাব ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া জানলার কাচ, মূল ফটক ও সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশ চোখে পড়ে। পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা, সুনসান নীরবতা। এই চিত্র আজ মঙ্গলবার সকালের; সাভারের বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটির।

গত রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত আশুলিয়ার খাগান এলাকার সিটি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে একই এলাকার বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটিতে ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনার পর গতকাল সকাল থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অনেক শিক্ষার্থী হল ছাড়তে শুরু করেন। পরে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার করে। প্রশাসনের নির্দেশে সন্ধ্যার মধ্যেই সব শিক্ষার্থী হল থেকে চলে যান।

আজ সকালে সিটি ইউনিভার্সিটির এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, ‘গতকালই সবাই (শিক্ষার্থীরা) চলে গেছেন। এখন হল খালি। আমরা সবাই একটু ভয়ের মধ্যেই আছি।’
এদিকে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানার মামলা করাসহ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তাঁরা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

উপাচার্য লুৎফর রহমান আরও বলেন, অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টির তদন্ত করা হবে। এ ছাড়া উচ্চ পর্যায়ে একটি তদন্ত হবে। আমরাসহ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে। সমস্যা সমাধান ও শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষাজীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ যদি আন্তরিক হয় এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়, তখন মামলা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

হামলা ও সংঘর্ষের পর সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে মোনা হোসেন হলের ফটকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ