যুদ্ধবিরতির জন্য নিরপেক্ষ স্থানে বসছে ভারত-পাকিস্তান: রুবিও
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করার পর মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বলেছেন, “একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে তারা।”
এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে রুবিও বলেছেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শরিফের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং রাষ্ট্রনায়কসুলভ মনোভাবের প্রশংসা করি, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন।”
রুবিও আরো বলেন, তিনি ও জেডি ভ্যান্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট) গত ৪৮ ঘণ্টা ভারত ও পাকিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে,এমন কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ট্রাম্প
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আকাশ ওরফে আমিনুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত আমিনুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে। তাঁর ভাই আসলাম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই আসলাম বলেন, ২০০৯ সালে আমিনুর দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে আসতেন। গতকাল তাঁর ভাই দক্ষিণ আফ্রিকার মেছিনা শহরের কাছে মাটিম্বোতে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাঁর মাথায় গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আমিনুর প্রাণ হারান।
নিহত আমিনুরের ভাই আসলাম আরও বলেন, গতকাল রাত সোয়া ১১টায় তাঁরা মৃত্যুসংবাদ পান। পরিবারের মধ্যে অসুস্থ মা, দুই ভাই, দুই বোন ছাড়াও আমিনুরের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগ, উপজেলার আজগানা গ্রামের মোল্লাবাড়ি এলাকার আছমান মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময় আমিনুরের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। তিনি আমিনুরকে কিছু না বলে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হন। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমিনুরের পরিবারের পক্ষ থেকে জাফরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। কিন্তু টাকা দেওয়ার বদলে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হতো। নিহত ব্যবসায়ীর হত্যার সঙ্গে বিষয়টির যোগ থাকতে পারে।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাফর মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।